চট্টগ্রামকে বাস উপযোগী বিশ্বমানের নান্দনিক পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়তে চায় মেয়র নাছির

প্রতিদিন রিপোর্ট :

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি সেন্টার এর নামে নিয়মিত লাইসেন্স করা এবং পশু জবাই এর বিষয়ে আইন কানুন মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীকে নাগরিকদের জন্য বাস উপযোগী,বিশ্বমানের, নান্দনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্য অর্জনে মেয়র কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

চট্টগ্রামকে বাস উপযোগী বিশ্বমানের নান্দনিক পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়তে চায় মেয়র নাছির 1

আজ বুধবার বিকেলে চসিক কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম নগরীর কমিউনিটি সেন্টার মালিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

 

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সমাজ কল্যান ও কমিউনিটি সেন্টার স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ বাচ্চু, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, এইচ এম সোহেল ও মোহাম্মদ জাবেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী এবং নগরীর কমিউনিটি সেন্টার এর মালিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

মতবিনিময়ে কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির উপদেষ্টা হাজী সাহাব উদ্দিন, সভাপতি সরফুল হক, সাধারন সম্পাদক মাসুদ হাসান পিংকি, প্যারাগন কনভেনশন এর পরিচালক মো. আলী আকতার মতামত ব্যক্ত করেন।

 

মতবিনিময়ে কমিউনিটি সেন্টার মালিকবৃন্দ সিটি মেয়রের প্রস্তাবনার সাথে একমত পোষন করে বলেন, চট্টগ্রামের স্বার্থে এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশের লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে কমিউনিটি সেন্টার মালিকগণ শতভাগ সহযোগিতা করবে। তারা সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চবার্ষিকী কর পুনঃমূল্যায়ন কর্মসূচী সফল করার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে বলে মেয়রকে আশ্বস্থ করেন।

 

মতবিনিময়ে সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৬০ লক্ষ নগরবাসীর পরিবারের কোন সদস্য যাতে আশাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সিটি কর্পোরেশন সেবাধর্মী সকল দায়িত্ব পালন করছে। মেয়র বলেন, পরিবেশ বান্ধব নগরী গড়ার লক্ষ্যে বছরে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করে ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ কর্মসূচীর অধীনে ইতোমধ্যে ২৬ টি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে বিন পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডিসেম্বর’১৬ এর মধ্যে বিন বিতরণ শতভাগ সমাপ্ত করে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কর্মসূচী চালু করা হবে।

 

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী প্রকাশিত গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ২৭% কর ধার্য্য করার এখতিয়ার সিটি কর্পোরেশনকে প্রদান করা হয়েছে। তা সত্বেও ১৯৮৬ সনে গেজেট দ্বারা নির্ধারিত ১৭% কর ধার্য্য করা হচ্ছে। ১৭% করের মধ্যে ইমারত কর ৭%, ময়লা নিষ্কাশন কর ৭ % এবং সড়ক বাতি বাবদ ৩% কর ধার্য্য করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে না।

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর পুনঃমূল্যায়ন বিষয়ে একটি মহল মিথ্যাচার এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভ্রান্তি মূলক অপ-প্রচারে লিপ্ত আছে। তাদের হিন মানষিকতা দ্বারা কোন সুনাগরিক বিভ্রান্ত হবে আমি তা বিশ্বাস করি না। মেয়র বলেন, নগরীর ড্রেনেজ সিষ্টেম, লাইটিং,অবকাঠামো ও সড়ক উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সনের মধ্যে চট্টগ্রামকে উন্নত ও সমৃদ্ধ একটি নগরীতে রূপ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রনালয়ে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বিবেচনাধীন আছে।

 

রিপোর্ট : রাজীব প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!