চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে- তরফদার রুহুল আমিন

চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেছেন, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর, বন্দরের বে-টার্মিনাল হচ্ছে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল হচ্ছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন হচ্ছে। কিন্তু এখনো সরকারিভাবে অফিশিয়ালি চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়নি। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করা হোক। চট্টগ্রামের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অর্থ সংকট থাকলে বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে।

সোমবার (৩১ মে) আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে বাজেট ভাবনা দিয়ে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে স্বাভাবিকভাবে বাজেটের আকারও বাড়ছে। আমরা চাই কৃষি ও স্বাস্থ্যখাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে সিসিটি, এনসিটি ও মেইন জেটি ২০-৩০ বছর আগে হয়েছে। নতুন জেটি যেগুলো হচ্ছে সেগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় মাথায় রেখে উঁচু করতে হবে। হেজার্ড ম্যাটেরিয়াল নিয়ে বন্দর কাজ করছে। বন্দর আরও স্ক্যানার কিনবে। পানগাঁওতে স্ক্যানার বসাতে হবে। বন্দরে প্রতিদিন ৪ হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হচ্ছে। মোট ৯ হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে । কিন্তু বন্দরের কাজকে আরও সহজতর করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নতুন ট্রাক টার্মিনাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরকে যানজট মুক্ত করতে হবে।

সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, কোনো শিল্পগ্রুপের একটি কারখানা ব্যাংকঋণে খেলাপি হলে যদি অন্য কারখানাগুলো সচল থাকে তাহলে রুগ্ন কারখানাটিকে সাপোর্ট দিতে পারবে। করোনা মহামারির কারণে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যাংকঋণ শোধের জন্য আরও এক বছর সুযোগ চায়, তাদের তা দেওয়া হোক। আমরা কর্মী ছাঁটাই করতে চাই না। কখন ছাঁটাই করে, যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। আমি একটি প্রডাক্ট আমদানি করলাম। পাইকারি বিক্রি করলাম ডিলারকে। এরপর সাব ডিলারের কাছে গেল। ট্রেডিং বিজনেসে ট্যাক্স বন্ধ করতে হবে। অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স সমন্বয়ের আওতায় আনতে হবে। বিজনেসম্যানদের সুরক্ষা দিতে হবে সরকারকে।

বিদেশে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিতে পারার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করে তিনি বলেন, বিদেশে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিতে পারার সুযোগ দিয়ে সরকারি সাপোর্ট দিতে হবে, ছাড় দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর ওই টাকা দেশে ফেরত আনবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদারনীতি গ্রহণ করা উচিত। অসৎ ব্যবসায়ী বেনামে কাঁচামাল আমদানি করে প্রোডাক্ট তৈরি করে। এনবিআরের কঠোর নজরদারিতে আনা উচিত। সরকারি দফতরে রেজিস্ট্রার্ড বা বৈধ ব্যাটারি উৎপাদকদের পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন নামে অবৈধ ব্যাটারি বাজারজাত করছে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!