চট্টগ্রামকে অবৈধ মোটরসাইকেলমুক্ত করতে সিএমপির বিশেষ অভিযান

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরানোর পাশাপাশি নগরকে অনিবন্ধিত মোটর সাইকেলমুক্ত করতে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১০ স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এটি চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর জিইসি, টাইগার পাস, নিউ মার্কেট, অক্সিজেন, নতুন ব্রিজ, ইপিজেড, বাদামতলী, অলংকার, আকবরশাহ এবং কাটগড় মোড়ে তল্লাশি চালানো হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মামলা হয়েছে বলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে।

অভিযানের বিষয়ে জানতে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি বিশেষ ফোকাস থাকবে মোটরসাইকেলে। মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহী দুইজনেরই হেলমেট বাধ্যতামূলক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সাথে রাখতে হবে। অন্যথায় আইন প্রয়োগে কঠোর থাকবে প্রশাসন।

তিনি আরো বলেন, অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল কিংবা ভুয়া নিবন্ধন নম্বরের মোটরসাইকেল অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। নগরকে অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলমুক্ত করা হবে।

ট্রাফিক বন্দর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার অলক বিশ্বাস বলেন, নগরের সড়কসমূহে শৃঙ্খলা ফিরাতে সিএমপি বড় পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই এক সপ্তাহ মোটর সাইকেলের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে উল্টো পথে কেউ মোটর সাইকেল না চালায়। হেলমেট ব্যবহার করুন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখুন। শীঘ্রই সড়কের যত্রতত্র পার্কিংয়ের বিরুদ্ধেও বিরুদ্ধেও অভিযান জোরদার করা হবে।

ট্রাফিক উত্তর বিভাগের টিআই (প্রশাসন) মহিউদ্দিন খান জানান, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ১শ ৪৫ মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৫শ ৬২ মামলা হয়েছে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে। গাড়ির কাগজপত্র না থাকা, চালকের লাইসেন্স না থাকা, হেলমেট ব্যবহার না করা, উল্টো পথে গাড়ি চালানোর দায়ে এসব মামলা দায়ের হয়েছে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!