চকরিয়া-পেকুয়ায় শীতার্ত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ

চকরিয়া-পেকুয়ায় শীতার্ত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় শীত বস্ত্র বিতরণ চলছে। সরকারী-বেসরকারীভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতের কাপড় দেয়া হচ্ছে। কম্বল ছাড়াও শীত নিবারনী পরনের কাপড় পেয়ে শীতে কাবু হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা মহা খুশি। সরকারের পক্ষ থেকে দু’উপজেলায় ৮ হাজার কম্বল দেয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, সরকারের পক্ষ থেকে দু’দফায় চকরিয়ায় সাড়ে পাঁচ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ কম্বল হতদরিদ্র নারী-পূরুষদের হাতে তুলে দিতে পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের দেয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা সরকারী বরাদ্দের কম্বল অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকা করে বিকরণ করেছেন। এসব কম্বল পর্যাপ্ত না হওয়ায় অনেকেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কম্বল ক্রয় করে নিজ নিজ এলাকায় বিতরণ করেছেন।
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, সরকারী বরাদ্দের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫’শ কম্বল ক্রয় ও সংগ্রহ করে দরিদ্র নারী-পূরুষকে দিয়েছি। পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী অতিরিক্ত কম্বল ক্রয় করে বিতরণ করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জয়নাল আবদীন জানান, উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে শীতে কাবু হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দু’দফায় প্রায় আড়াই হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব কম্বল উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও সাত ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা এসব কম্বল বিতরণ করেছেন। এছাড়াও বিত্তবান জনপ্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন।
মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, আমার এলাকায় হতদরিদ্রের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবেও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। গভীর রাতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে অসহায় নারী-পূরুষদের স্বচক্ষে দেখে শীতের কাপড় দিয়েছি।###

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!