চকরিয়া/ এবার হাই-এসের সঙ্গে ইউনিকের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু, আহত আরও ৮

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী হাই-এসের সঙ্গে ইউনিক বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত আরও আট জন। তারা সবাই হাই-এসের যাত্রী।

<span>চকরিয়া/</span> এবার হাই-এসের সঙ্গে ইউনিকের সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু, আহত আরও ৮ 1

শুক্রবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া বাঁকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি এলাকার খলিলুর রহমানের স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪৩) এবং অপরজন রামু উপজেলার চা-বাগান রমনী পাহাড় এলাকার দীপক পালেরর ছেলে সনেট পাল (২৭)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজারমুখী ইউনিক বাস (চট্টমেট্রো ব-১১-১০৪০) খুটাখালী মেধা কচ্ছপিয়া বাঁকে অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে চকরিয়াগামী যাত্রীবাহী হাই-এসের (চট্টমেট্রো চ-১১-৪০৮৯) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী হাই-এসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই রওশন আরা বেগম প্রাণ হারান। আহতদের উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় সনেট পাল নামের অপর যাত্রীর।

দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন রামু উপজেলার চা-বাগান রমণীপাহাড় এলাকার তপন ধরের ছেলে রাসেল ধর (২৮), চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী নাইপর ঘোনা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে মোঃ শাহ আলম (২৫), খুটাখালীর দক্ষিণ মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার আবদুস শুক্কুরের ছেলে মোঃ ইমরান (১৯), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গাবতলী বাজার এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২২), ডুলাহাজারা উলুবনিয়া গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে আকতার আহমদ (২৪), সদর উপজেলার ইসলামপুর শিয়া পাড়া এলাকার অছিয়র রহমানের ছেলে মোঃ আবছার (২৪)। আহতদের মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া এলাকায় ইউনিক বাস ও যাত্রীবাহী হায়েস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি ফাঁড়িতে জব্দ রাখা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!