চকরিয়ায় শেষ হলো উন্নয়ন মেলা

চকরিয়ায় শেষ হলো উন্নয়ন মেলা 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: ‘অপ্রতিযোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত তিনদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা পুরস্কার বিতরণ, আলোচনাসভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। উন্নয়ন মেলার শেষদিন শনিবার বিকালে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আয়োচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আল।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন-চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আলফাত,চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম চম্পা, চকরিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আ ক ম গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলায় উপজেলার সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের ৭৫টি স্টল অংশ নেয়। মেলায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সুন্দর উপস্থাপনা ও সাজসজ্জার জন্য প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের মাঝে সনদ ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। এছাড়াও মেলায় অংশ নেয়া প্রতিটি স্টলকে সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সরকারী পর্যায়ে মেলায় অংশ নেয়া স্টলগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভুমি অফিস, দ্বিতীয় হয়েছে কৃষি অধিদপ্তর এবং যুগ্নভাবে তৃতীয় হয়েছেন প্রাণী সম্পদ এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এছাড়া বেসরকারী পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন চকরিয়া পৌরসভা, দ্বিতীয় বনবিভাগ ও ক্রেল এবং তৃতীয় হয়েছেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। এতে গান পরিবেশন করেন দেশের স্বনামধণ্য শিল্পী সন্দীপন দাশ এবং সমরজিৎ রায়।
স্টলগুলোতে প্রতিটি প্রতিষ্টান বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত প্রকল্পের বিষয়ে তাদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি প্রতিষ্টাগুলো তাদের প্রদত্ত সেবার ধরণ সম্পর্কেও সঠিক ধারণা উপস্থাপন করেন। যা থেকে মেলায় আগত দর্শণার্থীরা মেলার প্রকৃত লক্ষ্য সমূহ সঠিকভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি প্রকল্পকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে তুলে ধরা, জনগণকে উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা, ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য, এসডিজি কার্যক্রমে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও ব্যক্তিখাতে উদ্যোক্ত সৃষ্টি এবং দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই মেলা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি ব্রান্ডিং প্রকল্পের বিবরণ এবং এর অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা দিতে মেলায় বিশেষ প্রদশর্নী করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাবিশ্বে বিভিন্ন কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ যে সমস্ত পুরস্কার লাভ করেছেন তার একটি প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
মেলায় তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ, বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ একটি স্টল রয়েছে। তবে মেলায় বিশেষভাবে নজর কেড়েছে চকরিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দেয়া স্টলটি। এই স্টলে দর্শনার্থীরা সহজে জানতে পেরেছেন চকরিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!