চকরিয়ায় প্রতিপক্ষকে মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে বাদি কারাগারে

দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল খুশি আক্তারের। এই বিরোধের জেরে বাদি হয়ে মামলাও করেন তিনি। আসামি করা হয় প্রতিপক্ষের তিনজনকে। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে সত্য ঘটনা। পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব উল্টো বাদি খুশি আক্তারকে জেলে পাঠান। সেইসঙ্গে মামলাটিও খারিজ করে দেন। এই রায়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

খুশি আক্তার (৩০) চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনার আবদুল মজিদের স্ত্রী।

সোমবার (১৮ এপ্রিল)চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই (পরিদর্শক) মো. শফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খুশি আক্তার চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহারে খুশি আক্তার উল্লেখ করেন, গত ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনার আবদুল করিম, রেশমী আক্তার ও সাজেদা বেগম পরিকল্পিকভাবে তার বসতঘরে ডুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’

‘পরে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব এজাহারটি আমলে নিয়ে চকরিয়া থানাকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে বলেন। সেইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করে। এরপর থেকে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চকরিয়া থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বাদি খুশি আক্তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই নিজের মাথা ফাটিয়েছেন বলে প্রমাণ পায়। সোমবার (১৮ এপ্রিল) চকরিয়া থানা পুলিশ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনটি আমলে নেন। যাছাই-বাছাই শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে খুশি আক্তারকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মামলাটি খারিজ করে দেন।’

মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মামলার আসামি আবদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সেদিন আমাদের সঙ্গে কোনো ঘটনায় ঘটেনি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিল খুশি আক্তার। বিচারকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেয়েছি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!