চকরিয়ায় পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলিতে এএসপি আহত : ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

চকরিয়ায় পুলিশ-ডাকাত গোলাগুলিতে এএসপি আহত : ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল পুলিশ। ডাকাতদলের সাথে ঘন্টাব্যাপী অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গোলাগুলি করেও পুলিশ অনমনিয় ভুমিকায় যাওয়ায় ভন্ডুল হয়ে যায় ডাকাতি। এসময় এএসপিসহ পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়। পুলিশ ধাওয়া করে বিপুল অস্ত্রসহ ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সোমবার ১৭ এপ্রিল ভোরে চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের কুমারী ব্রীজের নিকটবর্তী সেগুন বাগান এলাকায় সড়কে সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্ততি নিলে পুলিশ অভিযান চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে অর্ধ শতাধিক রাউন্ড গোলাগুলি হয়।
পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন- চকরিয়ার পুর্ব ডুমখালীর জাফর আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন (৩৮), হাজি নুর ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল হক (২৫), আবদুল হামিদের ছেলে আবদুর রহিম (২৫), মৃত হাকিম আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৩০), মৃত সৈয়দ আলমের ছেলে মহি উদ্দিন (২৫) ও মৃত মোহাম্মদ খলিলের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন আলী (৩০)। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১টি লম্বা বন্দুক, ৩টি এলজি, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৬ রাউন্ড কার্তুজের খোসা, ১টি কিরিচ, ২টি রাম দা ও ২টি ছুরা।
গোলাগুলির পর ধাওয়া করে অস্ত্রসহ ডাকাতদের ধরতে গিয়ে আহত হয় চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম, এসআই কাউছার উদ্দিন চৌধুরী, এসআই সুকান্ত চৌধুরী, এসআই মো.আলমগীর, কনস্টেবল ইব্রাহীম, মিনহাজ ও সাজেদুল ইসলাম। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের কুমারী ব্রীজের নিকটবর্তী চকরিয়া অংশে ১৮-২০জন সশস্ত্র ডাকাত সড়কে ডাকাতির প্রস্ততি নিয়েছে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। ভোররাত সোয়া তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত পুলিশের ১৫ সদস্য অভিযান চালায়। এএসপি মতিউল ইসলামের নেতৃত্বে আমি, ওসি তদন্ত মিজানুর রহমানসহ থানার পুলিশ দল অভিযানে যাওয়া মাত্রই ডাকাতের সাথে গুলি বিনিময় শুরু হয়।
ওসি আরো বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ রাউন্ড এবং ডাকাতরা অন্তত ৩০-৩৫ রাউন্ড গুলি করে। চর্তুপাশ থেকে ঘেরাও করে অভিযান শুরু হলে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতরা সড়ক লাগোয়া পাহাড়ি অরণ্যে প্রবেশ করে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বেশ ক’জন ডাকাত পালাতে সক্ষম হলেও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় ছয়জনকে। ডাকাতের ছোড়া লোহার রডের আঘাতে আহত হন এএসপি। অন্যরা ডাকাতির সাথে ধস্তাধস্তি ও পাহাড়ি জঙ্গলে ধাওয়া করতে গিয়ে আহত হয়।
এঘটনায় অস্ত্র আইন, পুলিশ এসল্ট ও ডাকাতির প্রস্ততির অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলারই বাদি হয়েছেন থানার এসআই সুকান্তা চৌধুরী।
এএসপি কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, সড়ক ডাকাতির চেষ্টা করা ডাকাতদলের গ্যাং লিডার ছিল ‘ব’ আধ্যক্ষরের বাইশটি মামলার ফেরার আসামী। পুলিশ মৃত্যু ঝুকি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করলে ওই লিডারসহ বেশ ক’জন পাহাড়ি পথ দিয়ে গহীণ অরণ্যে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!