চকরিয়ায় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদের হয়রানির অভিযোগ

চকরিয়ায় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদের হয়রানির অভিযোগ 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষক কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানীর শিকার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমবার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বলেন, হারবাং ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চারটি বিদ্যালয়ের ৪৫৫জন ছাত্র জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তৎমধ্যে লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয় অননুমোদিত হওয়ায় উত্তর হারবাং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের ৬৫জন ছাত্র জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত রবিবার অনুষ্টিত গণিত পরীক্ষায় সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের ১০৯ নম্বর কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিটন কান্তি নাথ আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নানা হয়রানী করেন। ছাত্ররা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চাইলে তাদেরকে ধমকিয়ে বসিয়ে দেন। অনেক কাকুতি মিনতি জানিয়েও ব্যর্থ হয় ছাত্ররা। টেবিলের নিচে কলম পড়ে গেলে সেটি আর নিতে দেননি ওই শিক্ষক। একপর্যায়ে দুই ছাত্র থেকে খাতা নিয়ে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক লিটন কান্তি নাথের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের বাক বিতন্ডাও হয়।
লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী শওকত ওসমান ও ওসমান গনি বলেন, একে তো গনিত পরীক্ষা, তার ওপর পরিদর্শক লিটন কান্তি নাথ তাদের খাতা নিয়ে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন।
মোহাম্মদ রোমন ও তারেকুল ইসলাম বলে, প্রস্্রাব করতে চাইলে পরিদর্শক লিটন কান্তি নাথ তাদের ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন। এছাড়া মানসিকভাবে চাপ তৈরি করেন।
লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম বলেন, লিটন কান্তি নাথ কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। কৈয়ারবিল এলাকার অনেক ছাত্র আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র। এটা সহ্য করতে পারেননি ওই শিক্ষক। এজন্য আমার ছাত্রদের ওপর তিনি ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে লিটন কান্তি নাথের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান জানান, ‘লক্ষ্যারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ আমার অফিসে দিয়েছেন। আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। একারনে তাৎক্ষনিক কিছু বলতে পারছি না। ফিরে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!