চকরিয়ায় ঘেরের মালিককে কুপিয়ে ৮০ হাজার টাকা লুট, গুলিবর্ষণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাঁদা না পেয়ে মৎস্যঘেরের মালিক রোকন উদ্দিনকে (৩৫) কুপিয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টায় গান্ধিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বামীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে স্ত্রী রিজু আক্তারকে (২৫) পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়া এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। আহত রোকন উদ্দিন ওই উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের গান্ধিপাড়া গ্রামের দিল মুহাম্মদের ছেলে।
তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অনুরাক্ষী বডুয়া।

রোকন উদ্দিনের মা মোশারফা জানান, আমার ছেলে ঢেমুশিয়া মৌজায় ৩ একর ৭০ শতক জমিতে পরিকল্পিত মৎস্য চাষ করে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে ৫ বছরের জন্য লিজ নেয় ওই জমি। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর পাউবো জলাশয় ইজারা চুক্তিনামা সম্পন্ন করে। সম্প্রতি ওই জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে গান্ধিপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাক আহমদ গংদের

আহত রোকন উদ্দিন জানান, মোস্তাক আহমদ গং আমার কাছ থেকে কয়েক মাস ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। ভয়-ভীতি দেখায়। ঘটনার দিন আমি ঘেরে অবস্থান করি। এ সময় গান্ধিপাড়ার মোস্তাক আহমদ ও তার ছেলে আব্দু রহিম, মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে ওসমান গণি, মৃত জুবাইরের ছেলে রাসেল, ওবায়দুলের ছেলে বাদশাহ ও মাঈনুদ্দীন ঘেরে হানা দেয়। তারা ধারালো কিরিচ ও লোহার রড দিয়ে আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমাকে উদ্ধার করতে স্ত্রী রিজু আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মাছ বিক্রির ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জান্নাতুল নাঈম চামেলী, সাবেক মেম্বার নুরুল আজিম, দিল মুহাম্মদ ও হুমায়ুন জানায়, মোস্তাক গং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ওইদিন ৬-৭ জনের দুর্বৃত্ত মৎস্যঘেরে গিয়ে রোকন উদ্দিনে কুপিয়েছে। পরে তারা ফাঁকা গুলি করে আতংক ছড়িয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে রোকন উদ্দিন হাসপাতালে যেতে পারেনি। ঘটনার একদিন পর তাকে গোপনে পেকুয়ায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!