চকরিয়ায় খাস জমি বন্দোবস্তি পেতে কাড়াকাড়ি

মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া :
কৃষি ও অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্তি পেতে কাড়াকাড়ি চলছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। উভয় শ্রেণীর খাস জমি বেদখলে থাকায় ব্যবহারের সমস্যার পাশাপাশি বন্দোবস্তি নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে প্রশাসন ও বরাদ্দ পাওয়া ভুমিহীনদের।
জানা গেছে, ১টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে চকরিয়া উপজেলার ৫৪টি মৌজার অধিনে ৫৮১ একর কৃষি খাস জমি রয়েছে। এই খাস জমি থেকে ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে অদ্যাবধি ৬ বছরে ৪৩ একর খাস জমি ৩৩২ ভুমিহীন পরিবারকে বন্দোবস্তি দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী মিলন বড়ুয়া নিশ্চিত করেছেন। 07_15

 

অবশিষ্ট ৫৩৮ একর খাস জমি পর্যায়ক্রমে ভুমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্তি দেয়া হবে। এ খাস জমি বরাদ্দ পেতে কয়েক হাজার আবেদন পড়েছে ভুমি অফিসে। এছাড়া অকৃষি খাস জমি রয়েছে ৮৪৯ একর। এই জমি রাস্তা-ঘাট নালা-নর্দমাসহ বিভিন্ন খাতে জনকল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃষি ও অকৃষি খাস জমির পাশাপাশি ১নং খতিয়ানভুক্ত বিপুল পরিমাণ খাস জমি থাকলেও তার সঠিক হিসাব নেই উপজেলা ভুমি অফিসে। দায়সারা হিসাব রয়েছে তহসিল অফিসগুলোতে।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে খাস জমি বন্দোবস্তি দেয়ার পর বন্দোবস্তি প্রাপ্তদের দখলে না থাকলে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উপকারভোগি ভুমিহীন পরিবারগুলোকে। রাস্তা ব্যতিত অকৃষি খাস জমি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে রয়েছে। এসব জমি নিয়ে প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাস জমি বন্দোবস্তির পূর্বে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুমিহীন সনদ সংগ্রহ করে প্রভাবশালী জমিদাররাও নিজ বা অন্য নামে খাস জমি বন্দোবস্তি পেতে আবেদন করেন। নিজেদের জমির মাথা খিলা অথবা জমির মাঝখানে অথবা বসতঘর রয়েছে অজুহাত দেখিয়ে ওই জমি বন্দোবস্তি পেতে সহানুভুতি আদায় করেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

 

অন্যদিকে, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ইতিপূর্বে খাস জমি একাধিকবার দখলমুক্ত করলেও পরে ওই জমি দখলবাজদের খপ্পরেই রয়ে যায়।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক সরজমিন যাচাই-বাছাই করে খাস জমি বন্দোবস্তি দেয়া হয়। কোথাও দখলের তথ্য পেলেই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

রিপোর্ট : মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া প্রতিনিধি ::

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!