চকরিয়ায় ৪ অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেপ্তার, হত্যার রহস্য উদঘাটন

কক্সবাজারের চকরিয়ার সুরাজপুরে খুন ও ডাকাতির ঘটনার ১০ দিন পর ঘটনায় জড়িতদের পরিচয়সহ রহস্য উৎঘাটন হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো. মতিউল ইসলামের নেতৃত্বে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আটক করা হয়েছে ২৬ বছর বয়সী মো. ফারুকে (২৬)। ফারুক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতারবিল গ্রামের শহর মল্লুকের ছেলে।

পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ফাঁসিয়াখালীর গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি এলজি ও দুটি একনলা বন্দুক। ফারুকের বক্তব্য থেকে খুনের নেপথ্যে কারণও উৎঘাটন করা হয়েছে।

খুনের ঘটনায় নিহত শাহাবউদ্দিনের ছোট ভাই মহিউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এসআই চিরঞ্জীব দাশ বাদী হয়ে ৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আটক ফারুককে গ্রেপ্তার দেখানো।

গ্রেপ্তার ফারুকের সঙ্গে খুনসহ ডাকাতিতে জড়িত ও অস্ত্র মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উপজেলা সুরাজপুরে ধানক্ষেত পাহারারত কৃষক শাহাবউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই রাতে নিকটস্থ পাড়ার তিনটি বসতঘরেও ডাকাতি করে হত্যাকারীরা। খুনের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শাহাবউদ্দিন খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়। বিভিন্নস্থানে নিয়োগ করা হয় একাধিক সোর্স। এরপরও সঠিক তথ্য পেতে নানা পন্থা অবলম্বন করতে হয়। অবশেষে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মতিউল ইসলামের নেতৃত্বে টানা ৪৮ ঘন্টা বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে খুনে জড়িত ফারুককে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মতে বুধবার রাতে ফাঁসিয়াখালীর জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে দুটি স্থান থেকে ৪টি অস্ত্র ও নগদ ১৪৪০ টাকা উদ্ধার হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক শাহাব উদ্দিনকে খুন ও সুরাজপুর ও সাহারবিলে ডাকাতিতে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। তিনি বিভিন্ন অপরাধকালে তার সঙ্গে জড়িতদের নামও প্রকাশ করে।’

ওসি আরও বলেন, ‘ফারুকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

এএইচ