চকবাজার কাউন্সিলর অফিসের ৫০ গজেই ময়লার স্তুপ!

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের মাত্র ৫০ গজের মধ্যে কাপাসগোলা সরকারি প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়ের গেইটে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। মাঝে মাঝে বাতাসে কিংবা খাবারের সন্ধানে কুকুরের টানাটানিতে সেই ময়লায় পথ রোধ স্কুলে প্রবেশের পথও। বাতাসে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তো আছেই। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আছে ক্ষোভ, সমালোচনাও।

সরেজমিনে কাপাসগোলা গিয়ে দেখা যায়, জামতলা মসজিদের ঠিক বিপরীত পাশে ‘সাত মাওলানার মাজার গলি গেইট।’ গেইটের দক্ষিণ পাশেই চট্টগ্রাম মহিলা মাদ্রাসা ও হেফজখানা। তার সাথেই কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন স্কুল এবং কলেজ। মাজার গেইটের উত্তর পাশের পিলারের সাথেই কাপাসগোলা সরকারি প্রাথমিক বালক উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল গেইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা।

দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘জুমার নামাজ পড়ে ফেরার পথে কাপাসগোলা সরকারি প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়ের সামনে এভাবেই আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। চকবাজার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ— পরিষ্কার করুন অতি দ্রুত। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন। স্কুলের বাচ্চাদের বায়ুবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—দ্রুত ব্যবস্থা নিন। যদি সম্ভব হয় একটি ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করুন যা স্কুলের দরজা হতে দূরে অবস্থান করবে।’

চকবাজার কাউন্সিলর অফিসের ৫০ গজেই ময়লার স্তুপ! 1

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মো. সেলিম রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ময়লা আবর্জনার জন্য স্কুলের বাচ্চা-অভিভাবক সবার সমস্যা হয়। পাশের মেহের ভবনসহ বিভিন্নজন ময়লা এনে এখানে ফেলে। আমরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।’

স্কুল গেইটে ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু বলেন, ‘স্কুলটার সামনে একটা ডাস্টবিন ছিল। আমি সেই ডাস্টবিন সরিয়েছি। কিন্তু এখনও স্থানীয় বাসিন্দারা ডাস্টবিন তুলে ফেলার পরও ওখানে ময়লা ফেলেন। তাদের মধ্যে সচেতনতার লক্ষ্যে আমি বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছি। তারপরও তারা স্কুলের সামনেই ময়লা ফেলছেন। বিষয়টি আমি দেখবো।’

স্থানীয় অধিবাসী আমান উল্লাহ বলেন, ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। স্কুলের সামনে থেকে ময়লা সরাতে কঠোর হলে কেউ ময়লা ফেলতো না। মিডা মিডা কথায় তো বাঙালিকে হয় না। ভোটের বিষয় আছে, কঠোর কথা বলবে কিভাবে? স্কুলের বাচ্চাদের রোগব্যাধি হলে কাউন্সিলরের কী?’

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!