চকবাজারে লুকিয়ে চলছিল কোচিং ক্লাশ, ওরাকল ও বিসিএস হেল্পলাইন বন্ধ

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায় কিছু কোচিং সেন্টার

একদিকে রয়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, অন্যদিকে আছে সরকারের নিষেধাজ্ঞা। এর কোনোটিরই তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে দুটি কোচিং সেন্টার লুকিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিল কোচিং বাণিজ্য।

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অবৈধ কোচিং করিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত হাতেনাতেই তাদের ধরা পড়তে হল ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে। তবে চকবাজার এলাকাতেই আরও কিছু কোচিং সেন্টার ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যায়।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে ওরাকল কোচিং সেন্টার ও বিসিএস হেল্পলাইন কোচিং সেন্টারে কোচিং ক্লাস চালু অবস্থায় সেখানে অভিযান চালান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সরকারি নির্দেশনা না মেনে কোচিং সেন্টার দুটি ক্লাস চালু রাখে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায়— এমন অকাট্য প্রমাণ পাওয়া ওই দুটি কোচিং সেন্টারের মালিককে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি সেগুলো বন্ধও করে দেওয়া হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। তাকে সহায়তা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম।

অভিযানে কোচিং সেন্টার খোলা রেখে ক্লাস চালু রাখায় ওরাকল কোচিং সেন্টারকে ১০ হাজার ও বিসিএস হেল্পলাইন কোচিং সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘করোনার কারণে সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টারে ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনা না মেনে চকবাজারে দুটি কোচিং সেন্টার ক্লাস চালু রাখে। অভিযান চালিয়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি কোচিং সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ আছে চকবাজারসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্য চলছে। আজকের অভিযানে দেখা গেছে, ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে অনেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যায়।’

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!