চকবাজারে মিস্টার লাইকি রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে মাছ মাংস দই সবই পঁচা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝেও থেমে নেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা। যে যেভাবে পারছে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ বিত্তের মালিক হবার ধান্দায় নেমেছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্যসামগ্রী সব কিছুতেই নকল আর ভেজালের বেসাতি। প্রশাসনও থেমে নেই, প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে মামলা, জরিমানা করেই চলেছে। কিন্তু চোরাই না শুনে ধর্মের কাহিনী। সুযোগ পেলেই অসাধু চক্রের মানুষ ঠকানোর পাঁয়তারাও থেমে নেই।

করোনাকালে নগরের প্রায় রেস্টুরেন্ট মালিকরা পচা-বাসি খাবার ব্যবসায় মেতে উঠেছে। জেলা প্রশাসনের অভিযানে নগরীর চকবাজার এলাকার মিস্টার লাইকি নামক রেস্টুরেন্টে এমন চিত্র উঠে আসে।

দীর্ঘদিনের পচা-বাসি রান্না করা মাছ মাংস ও মেয়াদোত্তীর্ণ দইসহ ক্ষতিকর রং মেশানো খাবার বিক্রি করছে রেস্টুরেন্টটি। অভিযান চালিয়ে ওই রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, অভিযানে দেখা যায় যে, চকবাজার এলাকার মিস্টার লাইকি রেস্টুরেন্টে বেশ কয়েকদিন আগের রান্না করা মাছ, মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও নানা খাবার বিক্রির জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ক্ষতিকর রং মিশিয়ে পুনরায় তেলে ভেজে এসব তরকারি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছিল। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ দই দিয়ে বোরহানী ও জুসসহ নানা ধরণের পানীয় বিক্রি করা হচ্ছিল। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ অপরাধে ওই রেস্টুরেন্টকে ১০ দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!