চকবাজারের টং দোকানে চাঁদাবাজির জেরে হঠাৎ উত্তেজনা, তীরে বিদ্ধ কলেজ ছাত্রলীগ

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে টং দোকান থেকে চাঁদা তোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চকবাজার প্যারেড মাঠ সংলগ্ন কেয়ারি মলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চকবাজার থানা পুলিশে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্যারেড মাঠ সংলগ্ন হকার ও টং দোকান থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও চকবাজারকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে বিরোধ চলে চলছিল। এর জের ধরে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালায় তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন দোকানদার বলেন, এখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান চালাতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েক দফা চাঁদা দিতে হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব ছিল। আজও আমাদের কাছ থেকে তারা চাঁদা তুলতে আসে। এ সময় টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে তারা নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাঝখানে আমাদের দোকানেই ভাঙচুর চালায় তারা।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দিকে। কিন্তু অভিযুক্তরা উল্টো এসব টং দোকানদারদের দায়ী করছেন। তাদের মতে, স্থানীয় বখাটেদের মদদে এসব টং দোকানে নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবন ও কেনাবেচা চলে। যার ফলেই এসব টং দোকান উচ্ছেদের দাবি করে আসছিলেন তারা। তবে কে বা কারা এই মাদক কারবারে জড়িত— এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি তারা।

দোকান ভাঙচুরে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, ‘রাস্তার পাশের ওই টংয়ের দোকানগুলোতে চা বিক্রির আড়ালে মাদকের হাট বসে। দোকানগুলোতে বসে উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা মাদক সেবন করে। তাই কলেজ আঙ্গিনাকে মাদকমুক্ত করতে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের ছাত্ররা স্বপ্রণোদিত হয়ে মাদকের দোকানগুলো উচ্ছেদ করে। এ সময় দোকানদারদের সাথে ছাত্রদের হাতাহাতির ঘটনা হয়।’

তবে এই ঘটনার সাথে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ বা ব্যক্তিগতভাবে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন সবুজ।

এই বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘টংয়ের দোকানগুলোতে দুজন যুবকের মধ্যকার কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের ধাক্কায় ফুচকার দোকানের কয়েকটি ফুচকা মাটিতে পড়ে যায়। এতে কোনো গ্রুপ বা দলের সম্পৃক্ততা নেই।’

এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ জানায়নি বলেও জানিয়েছেন ওসি ফেরদৌস।

বিএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!