ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু অগ্রসর হচ্ছে : সাগর উত্তাল, ৪ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘রোয়ানু’।

imagesট

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কাছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

কক্সবাজার সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণি ঝড় “রোয়ানু” ক্রমশঃ শক্তিসঞ্চয় করে এগুচ্ছে। বেলা ১২টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এটি কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে-তা নিয়ে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। ‘ঘূর্ণিঝড়টি ঊপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা যেমন রয়েছে, তেমন প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এ নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাসের আগে আরও কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোয়ানু’। মালদ্বীপ এ নামটি প্রস্তাব করেছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

আবহাওার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে হবে।

 

রিপোর্ট :: রাজীব সেন প্রিন্স

 

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!