ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’— আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন পতেঙ্গার উপকূলীয়রা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শক্তিশালী হয়ে ক্রমেই ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। এটি ঘণীভূত হয়ে আরও প্রবল বেগে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নাগাদ আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে পতেঙ্গার উপকূলবাসীরা ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে।

এদিকে সতর্কতা বাড়াতে ও দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতির জন্য শনিবার সকাল ৮টা থেকে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় কাউন্সিলর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ও ট্যুরিস্ট পুলিশ স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং ও প্রচারণা করছেন।

পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকার ব্যবসায়ী বাসিন্দা ফোরকান বলেন, ‘গত রোয়ানু ঘূর্ণীঝড়ের সময়ে সীবিচ এলাকায় প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তাই এখানকার প্রায় ব্যবসায়ী গতকাল থেকে নিরাপদ জায়গায় মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন।’

কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা মো. জমিস উদ্দিন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ এলাকায় বেশিভাগকে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছেন। অনেকেই আশপাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি দেখে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।’

৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালে আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে সিটি করেপারেশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় ও নদী উপকূলীয় এলাকার ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়া মাইকিং ও প্রচারণার কাজ করছেন। ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে।’

জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর আবদুল বারেক বলেন, ‘সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিতে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও স্বেচ্ছসেবকদের দিয়ে মাইকিং করাচ্ছি। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের লোকজনও কাজ করছেন। সকাল থেকে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলকার বেশিভাগ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, আকমল আলী বেড়িবাঁধ, কাট্টলী ও সীতাকুণ্ড উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে না গেলেও শনিবার সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!