চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি, সিসিটি, জিসিবিসহ বন্দর চ্যানেলের ১৮টি জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। বড় জাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রে আর ছোট লাইটারগুলোকে কর্ণফুলী নদীর কালুঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (১৩ মে) ভোর ৪টা থেকে জেটি শূন্য করার কাজ শুরু করে বন্দরের মেরিন বিভাগ।
জানা গেছে, সব বড় জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বন্দর চ্যানেল থেকে সব লাইটার জাহাজও কালুরঘাট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় বন্দরের পাইলটরা টাগবোটের সহায়তায় একে একে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পৌঁছে দেন।
কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার থাকাবস্থায় সকাল সাতটা পর্যন্ত এ অপারেশন চলে। কিন্তু ভাটার কারণে নেওয়া যায়নি পতেঙ্গা ওয়াটারবাস জেটিতে অবস্থানরত বে ওয়ান, ৭ নম্বর জেটিতে থাকা MV NEGAR, ও ১০ নম্বর জেটির MV LOTSE নামের তিনটি জাহাজ।
বন্দর সূত্রে মতে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। এর ফলে জাহাজ থেকে পণ্য, কনটেইনার লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে।
কিউজিসিসহ জেটির হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিরাপদে রাখতে প্যাকিং করে রাখা হচ্ছে। বন্দরের মেরিন, নিরাপত্তা, ট্রাফিক ও সচিব বিভাগের পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দর ভবনে দফায় দফায় জরুরি সভা চলছে।
বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, মোখা মোকাবেলায় সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিগুলো হাজার শূন্য করা হয়েছে। তবে ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার ডেলিভারি চালু আছে। পরিস্থিতি সাপেক্ষে সেটিও বন্ধ রাখা হবে।
এএস/এমএফও