ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ দেখতে উৎসুক মানুষের ঢল, পুলিশ এসে ফাঁকা করলো পতেঙ্গা সী-বিচ

চট্টগ্রাম নগরীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা টোলরোডে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র দেখতে ঢল নেমেছিল হাজার হাজার অতিউৎসাহী মানুষের। পরে পুলিশের কঠোর হলে সন্ধ্যার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় সী-বিচ এলাকা।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজারে চলছে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রামে ৮ নম্বর।

শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পতেঙ্গা সীবিচে সিএমপি সহকারী কমিশনার মাহমুদ হাসান (বন্দর জোন) পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশ উৎসুক মানুষজনকে সী-বিচ এলাকা থেকে পাঠিয়ে দেন।

এর আগে মাইকে বার বার নিরাপদে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকায় আগত দর্শনার্থীদের।

শনিবার বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, টোলব্রিজ ও সী-বিচে একদিকে মাইকে নিরাপদে চলে যাওয়ার ও নিরাপদ থাকার ঘোষণা দিচ্ছে। এরমধ্যে এসব ঘোষণা কানে না তুলে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। এমনকি অনেকে সমুদ্র সৈকতে নেমে সাগরের পানিতে গা ভিজিয়ে ছবিও তুলছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের ৩০ জন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ২০ জনসহ থানা ও সিএমপির রিজার্ভ ফোর্সের কর্মীরা ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসে উপসহকারী পরিচালক (জোন কমান্ডার) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ’মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পরও অতিউৎসাহী প্রায় কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভীড় করতে থাকে সী-বিচ এলাকায়। পরে পুলিশের সহায়তায় তাদের সী-বিচ এলাকা থেকে বাড়ি পাঠানো হয়।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!