ঘুষের টাকাসহ আদালতের কর্মচারী ধরা

রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক কর্মচারীকে ঘুষের টাকাসহ আটক করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় নিশাত নেওয়াজ (সুমি) নামে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ আহমদ তাকে আটক করেন।
আটক মো. জামাল হোসেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক। অভিযোগকারী নিশাত নেওয়াজ (সুমি) রাঙামাটি সদরের ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়নের সাপমারা গ্রামের আবু আলমের মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় আদালত ভবনের প্রবেশ পথে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ আহমদ অভিযুক্ত অফিস সহায়ক জামাল হোসেনকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে অভিযোগকারীর দেওয়া ঘুষের দেড় হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

অভিযোগকারী নিশাত নেওয়াজ (সুমি) এর বক্তব্য মতে, জব্দ আলামতের মধ্যে তিনটি পাঁচশত টাকার নোট রয়েছে।যা সে জামালকে দিয়েছিল।

অভিযোগকারী আরও উল্লেখ করেন, সুমির আত্মীয়-স্বজনকে জামিন করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অফিস সহায়ক জামাল হোসেন আগে তার নিকট থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং আজ দেড় হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এর আগে তার ভাই আবু হাসান সোহেলের কাছ থেকে নিয়েছেন আরও ৩১ হাজার ৫০০ টাকা।

তবে, অভিযুক্ত অফিস সহায়ক জামাল হোসেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএনএম মোরশেদ খান আদালতে জবানবন্দিতে অভিযোগকারীর ভাই সোহেলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং আজ অভিযোগকারী সুমির কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহায়ক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সিডিউলভুক্ত হওয়ায় এ বিষয়ে জেলা দুদক উপপরিচালক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তার আগে আইনানুগ হেফাজত নিশ্চিত করতে আটক অফিস সহায়ক জামাল হোসেনকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, আটক অফিস সহায়ক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপারিশ করবেন বলে জানান অফিস সহায়ক দেবাশীষ দত্ত।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!