ঘুষের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হাটহাজারীতে গণশুনানি

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকারি সহায়তা পেতে গিয়ে নিয়ম বহিভূর্তভাবে সাহায্যপ্রার্থীদের কাছে অর্থ (ঘুষ) আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাটহাজারীতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানি গ্রহণ করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

জানা যায়, ইউএনও অফিস, পৌরসভা কার্যালয় সদর ইউনিয়ন ও ভূমি অফিস-এই তিন অফিসে ঘুষ সম্পর্কিত তথ্য পেতে ‘ঘুষ বোর্ড’ লাগান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যেখানে লেখা আছে, ‘এই অফিসে যদি কাউকে ঘুষ দিয়ে থাকেন,তবে এই বোর্ডে বিবরণ লিখে যাবেন। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন এ উদ্যোগ নেন। বোর্ডে না লিখলেও বক্সে লিখেছেন অনেকেই। প্রায় ১৫ অভিযোগ জমা হয়। বেশিরভাগ অভিযোগ অবৈধ দখল, ভেজাল এবং অনিয়ম প্রসঙ্গে।

এছাড়াও মাতৃত্বকালীন মাসিক ৮০০ টাকা ভাতার টাকা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে টাকার ভাগ দিতে হয় সেই সাথে ভাতা পাইয়ে দিতেও আলাদা অর্থ টাকা দাবি করেন তিনি। এরকম অভিযোগের প্রেক্ষিতে সচেতনতা সৃষ্টি এবং মধ্যস্বত্বভোগী দূর করতে গণশুনানির আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘আমাদের মাতৃত্বকালীন ভাতা আছে মায়েদের জন্য মাসিক ৮০০ টাকা। এক মহিলা তালিকা করানোর নাম করে মেয়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে গণশুনানির আয়োজন করি যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানি বা প্রতারিত না হয়।’

গণশুনানিতে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মত বিনিময় করেন সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীর সাধারণ মানুষ। উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন, সহকারী প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন সরকার।

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!