ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলা, নৌবাহিনীর ৪ সদস্যসহ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক ৪ সদস্যসহ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন— নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী, বাবুল রহমান ওরফে রনি এবং জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফার। এদের মধ্যে এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মনোরঞ্জন ধর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত ৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।’

সংশ্লিস্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর ১০ মিনিটের ব্যবধানে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন। বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে মোট ২৪ জন আহত হন।

বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন।

নৌ বাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে সেখানে আসামি করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার আবদুল মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ।

আদালতের নথি অনুযায়ী এম সাখাওয়াত হোসেন পলাতক আছেন, বাকিরা কারাগারে।

জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হন বলে পুলিশ জানায়। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে মোট ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!