ঘর ভাড়ায় দেরি, পানির লাইন কেটে চসিক কাউন্সিলরের ‘শোধ’

কাউন্সিলর বলছেন, এমন করার প্রশ্নই আসে না

চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় ভাড়াটিয়াদের পানির সংযোগ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ওই কাউন্সিলর বলেছেন, তিনি অন্তত দেড় মাস ওই বিল্ডিংয়েই যাননি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওই কাউন্সিলর হলেন নগরীর ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাবেদ।

ওই ফ্ল্যাটের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাতে চৌমুহনীতে জাবেদ টাওয়ারে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ওই ভবনে মোট ৩৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। কাউন্সিলর জাবেদ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভাড়ার জন্য পানির সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন কাউন্সিলর জাবেদ। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘আমার বিল্ডিংয়ে মোট ৩৪টি পরিবারের বাস। সেখানে ২১ মাসের ভাড়া বাকি— এমন পরিবারও আছে। ৮ থেকে ৯টা পরিবার আছে, যাদের কাছে ৩ মাসেরও বেশি ভাড়া বাকি। আমি অন্তত দেড় মাস ওই বিল্ডিংয়েও যাইনি। এতদিন বকেয়া ভাড়ার জন্য পানির সাপ্লাই বন্ধ করতে গেলাম না। আর এই পরিস্থিতিতে এটা করার তো প্রশ্নই উঠে না।’

জাবেদ টাওয়ারের বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন, সময়মত বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের ফ্ল্যাটে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। যেটা খুব অমানবিক হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর জাবেদ বলেন, ‘ওয়াসার পানি ছিল না লাইনে। তখন এক ভাড়াটিয়া পানি দিতে বলায় কেয়ারটেকার বলেছে লাইনে পানি নাই। তখন ওই ভাড়াটিয়া বলেছে ডিপের পানি দেওয়ার জন্য। এর প্রেক্ষিতে কেয়ারটেকার হয়তো ভাড়া নিয়ে কিছু বলেছে। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আর এই সুযোগ নিয়ে যাদের কয়েক মাসের ভাড়া বাকি, তাদের কেউ হয়তো বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই এটা করেছে। এই অভিযোগ সত্য নয়। এটা করার প্রশ্নই আসে না।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!