গ্রেপ্তার হওয়া ৫৬ পোলিং এজেন্টের তালিকা নিয়ে ইসিতে শাহাদাত

রাত পোহালেই নির্বাচন আর বিএনপি দৌঁড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন অফিসে। নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনের একদিন আগেও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ জানিয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে এ অভিযোগ করেন। ডা. শাহাদাত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানের কাছে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ জানিয়ে তাদের দ্রুত মুক্তি দাবি করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিদিন তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত নগরের প্রায় দুই শতাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তারসহ হাজারের বেশী নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। শুধুমাত্র (২৫ জানুয়ারি) রাতে ৫৬ জন পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার পোলিং এজেন্টের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। এর আগেও নির্বাচন কমিশনে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

গ্রেপ্তার পেলিং এজেন্টরা হলেন- চান্দগাঁও থানায় মোশারাফ হোসেন, ওসমান, ডবল মুরিং থানায় জাহেদ হোসেন বাবু, কাইয়ুম রিপন, কোতোয়ালী থানায় নুর মোহাম্মদ, আমিনুর রহমান মিয়া, আবু নাছির সাজ্জাদ, আউনুর ইসলাম, শহিদুল রণি, আবদুর রাজ্জাক, মনজুর, রবিউল, পতেঙ্গা থানায় আলী হোসেন, বখতিয়ার উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম, আবদুল আলিম(ডেবিট), সেলিম সরদার, আলী রাশেদ, আবু, পাহাড়তলী থানায় হালিম সওদাগর, মহসিন।

গ্রেপ্তারর হওয়া পোলিং এজেন্টের তালিকায় আরো আছেন- বাকলিয়া থানায় তুর্কি, রুদ্র, হোসেন, বাছির আলী, মো. আইয়ুব, মোরশেদ, রফিক, মিন্টু, কাদের, শামীম, এরশাদ, নবাব, আবদুল মজিদ, বায়েজিদ থানায়মনির খসরু, ইলিয়াস, মহিন, জাহাঙ্গীর, মিজান, মনির হোসেন বুটু, শাকিল, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ জয়নাল, মিলন, মাসুদ, লাবলু, রফিক, মঈন উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রাতুল, মো. মামুন, ইপিজেড থানায় ওসমান, হালিশহর থানায় ওয়াহিদ, চকবাজার থানায় ফারুক।

এ ব্যাপারে ডা. শাহাদাত হোসেন গণ্যমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে যে উৎসবমুখর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তা গত সাতদিনে দলীয় নেতাকর্মীদের ও দুই দিনের পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তারের ফলে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’

বিএনপি সমর্থিত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীকে না পেয়ে তাদের ঘরের দারোয়ানকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছি তাদের যেন তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়।’

সিএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!