গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত, ইবিএলের প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজারসহ ৩ জন গ্রেপ্তার দুদকে

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) দুই শাখায় গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দর এ তথ্য জানান। দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ, উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ২১/এ মুমিন রোড এলাকার মৃত সফিউল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র সাবেক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চান্দগাঁও ও বহদ্দারহাট শাখার ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার সামিউল সাহেদ চৌধুরী (৩৫))। চট্টগ্রামের খুলশী থানার সাউথ খুলশী আবাসিক এলাকার ৪৯২/৫৬০ ব্লক-বি ১ নম্বর রোডের মো. আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র মাহমুদুল হাসান (৩২)। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার পূর্ব মাদার বাড়ি দারোগারহাট রোডের আবদুস সবুর মাস্টার বাড়ির আবদুল মালেকের পুত্র আবদুল মালেক (৩৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তদন্তকালে এ ঘটনায় আরও অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের দুই শাখায় গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৩ টাকা আত্মসাতে দুই ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১। এর আগে (৮ আগস্ট) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের করা মামলায় অভিযুক্ত মূল হোতা ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ইফতেখারুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!