গ্রামবাসীর হাতে ধরা ইয়াবাসেবী পুলিশ, সংঘর্ষে আহত ১০

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পুলিশ সদস্যের ইয়াবা সেবন নিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ফাঁড়ি ইনচার্জসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তারা হলেন, ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. ছানোয়ার ও কনস্টেবল রাশেদ।

এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার চরণদ্বীপ ভরাপুকুর পাড়স্থ প্রবাসী ইছমাইলের দ্বিতল ভবনের ছাদে প্রতিদিন রাতে মদ-ইয়াবা ও গাঁজার আসর বসে। এ আসরে যোগ দিতে দেখা যায় ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশকে। শনিবার রাতে চরণদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল রাশেদকে এ আসরে বসতে দেখে উত্তেজিত এলাকাবাসী বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। অবস্থার বেগতিক দেখে আসরের অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও কনস্টেবল রাশেদ এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে।

এ সময় উত্তেজিত জনতা কনস্টেবল রাশেদকে গণপিটুনি দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাশেদ ফাঁড়িতে গিয়ে অন্যান্য সহযোগী নিয়ে এসে এলাকাবাসীর উপর লাঠিচার্জ করতে থাকে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে মহসিন, হারুন, রাশেদ, আজাদ, সাইমুম, আবদুল্লাহ, হারুনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘চরণদ্বীপ ফকিরাখালী ফাঁড়ির ইনচার্জসহ দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনেন এলাকাবাসী। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. ছানোয়ার ও কনস্টেবল রাশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!