গোপন শাস্তি আর নয়, ইয়াবায় জড়ালে হাতকড়া পড়বে পুলিশের হাতেও

সিএমপি কমিশনারের হুঁশিয়ারি

কোনো পুলিশ সদস্য ইয়াবাসহ অনৈতিক কাজে জড়ালেই আর গোপনে শাস্তি নয়, এখন থেকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে জনসম্মুখে হাজির করা হবে। তাই সময় থাকতে এ কাজ থেকে সরে আসতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবর রহমান। শনিবার (১৫ জুন) রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার এ হুঁশিয়ারি দেন।

শুক্রবার রাতে (১৪ জুন) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮০ হাজার টাকা ও একটি মোটর সাইকেলসহ সিএমপির বন্দর জোনে কর্মরত সিদ্দিকুর রহমান নামের এক টিএসআইকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ ঘটনার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর জানিয়েছেন, মূলত চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের টিএসআই বাবুল খন্দকারের কাছ থেকে ইয়াবার চালানটি নিয়ে পাচারের জন্য সিজিএস কলোনিতে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

এর পরদিন শনিবার (১৫ জুন) রাতে নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে সাইফুল নামে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কারারক্ষীকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

দুই দিনেই আইনশৃংখলা বাহিনীর তিনজন সদস্য ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাহবুবর রহমান বলেন, ‘লোভে পড়ে পুলিশের কতিপয় সদস্য ইয়াবা ব্যবসাসহ অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে। আগে হয়তো তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে। কিন্তু এখন আমাদের কড়াকড়িতে পার পাচ্ছে না। আগে এই ধরনের কোনো অকাজ করলেও হয়তো আমরা বিভাগীয় শাস্তিসহ গোপনে সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। এখন আমার স্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে, সাধারণ অপরাধীদের যেরকম হাতকড়া পরে জনসম্মুখে হাজির করা হয়। ইয়াবা মামলার আসামি পুলিশদেরও হাতকড়া পরিয়ে জনসম্মুখে হাজির করা হবে।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!