গুজব ঠেকাতে কর্ণফুলী থানার প্রচার-প্রচারণা

সন্দেহজনক বা গুজব ছড়িয়ে কোনো মানুষকে পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। সম্প্রতি সারাদেশে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছে নিরীহ ৪৩ জন মানুষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ কসিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন যারা ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রে পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ নেমেছেন গুজববিরোধী প্রচার-প্রচারণায়। স্কুল, কলেজে মাইকিং, বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার টাঙিয়ে পথসভার মাধ্যমে গুজব শুনে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।রে। এতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন যারা ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রে পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ নেমেছেন গুজববিরোধী প্রচার-প্রচারণায়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্কুল, কলেজে মাইকিং, বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার টাঙিয়ে পথসভার মাধ্যমে গুজব শুনে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

গুজব ঠেকাতে কর্ণফুলী থানার প্রচার-প্রচারণা 1
কর্ণফুলীতে গুজববিরোধী কর্মসূচি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবু বক্কর সিদ্দিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশে নগরীর ১৬ থানায় ওসিদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট, স্কুলে সচেতনতামূলক সভা হচ্ছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন, ‌‘কর্ণফুলী থানাধীন চারটি স্কুলে গুজববিরোধী ক্যাম্পেইন এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছি। সাধারণ মানুষকে অহেতুক গুজবে বিশ্বাস না করতে সচেতন করার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীকাল যেহেতু শুক্রবার তাই বিভিন্ন মসজিদে গুজববিরোধী মাইকিং করা হবে। আগামী এক সপ্তাহ টানা আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের গুজব যারা ছড়াচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের তথ্য দিন। ‘ছেলে ধরা’ গুজবে কান দিয়ে কাউকে আহত করা, কাউকে প্রহার করা বা কাউকে শাস্তি দেওয়া চরম অন্যায় এবং ফৌজদারী অপরাধ। এটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এই প্রচার-প্রচারণা।
আজ আমেনা রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়,দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে গুজববিরোধী মতবিনিময় সমাবেশ করি। স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন ও মাইকিংয়ে ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (কর্ণফুলী জোন) জাহেদুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর তদন্ত জুবায়ের সৈয়দসহ আরও অনেকে।

শারমিন/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!