গুগলের কাছে থাকা লোকেশন হিস্ট্রি নিয়ে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য বের করছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের নামে সংরক্ষিত লোকেশন হিস্ট্রি পরিচিত ‘সেন্সরভোল্ট’ নামে। গত ছয় মাসে এই সেন্সরভোল্ট থেকে বার বার তথ্য নিয়েছে পুলিশ। এক সপ্তাহে ১৮০ বার তথ্য চেয়েছে তারা। তবে ছয় মাসে কতবার গুগলকে তারা তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছে তা জানা যায়নি।
নতুন ‘জিওফেন্স’ ওয়ারেন্টের আওতায় কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়, একটি নির্দিষ্ট এলাকা অতিক্রম করলে লোকেশনের তথ্য ও ব্যক্তির নাম জানতে এই আবেদন করতে পারছে পুলিশ।
২০০৯ সাল থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের লোকেশন হিস্ট্রি নিচ্ছে গুগল। তবে এই তথ্য গুগল অনন্তকাল রেখে দেবে তা কেউ বোঝেনি। আসলে আসামীকে পাকড়াও করার জন্য পুলিশের জন্য লোকেশন হিস্ট্রি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তবে এভাবে আসামী ধরা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও। কারণ, গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মানে এই নয় যে ফোনটির মালিকই ওই স্থানে ছিলেন। এতে ভুল মানুষকে আটক করার আশংকা অনেক বেশি থাকছে।
এমন ঘটনাও যে ঘটেনি তা নয়। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ এক খুনের অভিযুক্তকে খুঁজতে তার লোকেশন জানতে গুগলের কাছে আবেদন করে। কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গুগল অভিযুক্তের লোকেশন সরবরাহ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। কিন্তু সে অনুযায়ী তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি আসলে অভিযুক্ত নয়। বরং তিনি অভিযুক্তের স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন গুগল ম্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের তথ্য নিলেও আইফোন ব্যবহারকারীদের লোকেশন হিস্ট্রি নেওয়া খুব একটা সহজ নয় পুলিশের জন্য। শুধুমাত্র গুগল ম্যাপ ব্যবহার করলেই আইফোন মালিকের তথ্য নিতে পারবে পুলিশ।