গাড়ি বন্ধ রেখে সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ভোগান্তিতে কর্মস্থলমুখী মানুষ

হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের বাড়ানোর প্রতিবাদে গাড়ি বন্ধ করে বিক্ষোভ পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। এতে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে গণপরিবহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী বিভিন্ন পেশার মানুষ। এছাড়া শ্রমিক-বিক্ষোভের কারণে রাস্তায় অধিকাংশ যানবাহনেরও চলাচলে শিথিলতা দেখা গেছে।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় শতশত শ্রমিক এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এছাটাও নগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা বিক্ষোভ পালন করতে দেখা যায়।

এর আগে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ভাড়ার হার পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গণপরিবহন না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

ভোগান্তিতে বিষয়ে কর্মস্থলগামি কয়েকজন ব্যক্তি জানায়, শনিবার সকাল থেকে অক্সিজেন, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও সিএন্ডবি, জিইসি, টাইগারপাস ও আগ্রাবাদ এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। সকাল ৭টার পর থেকে কর্মস্থলে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের।

সড়কে শুধু রিকশা আরও গুটিকয়েক অন্যান্য যানবাহন চলছে। একসঙ্গে কর্মস্থলমুখী লোকজন বেশি হওয়ায় এসব যানবাহনে যাত্রীদের প্রচুর চাপ। অনেকে সিএনজি অটোরিকশা ও মিনি ট্রাকের চড়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কেউ কেউ কর্মস্থল পৌঁছান। পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েও অফিসে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

চট্টগ্রাম সিটি সার্ভিস বাস মালিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক টিটু তালুকদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ঘোষণা দেয় সরকার। এই ঘোষণার পরপরই নগরের বেশির ভাগ পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়ি চালকরা তো সকালে গাড়ি চালাতে রাতেই তেল নিয়ে নেয়। তেল না পেয়ে সকালে গাড়ি কিভাবে চালাবে? এছাড়া বাড়তি দামে তেল কিনে লোকসান দিয়ে কিভাবে গাড়ি চালাবে তারা? এজন্য ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহন শ্রমিক নেতারা।’

চট্টগ্রাম বন্দর জোনের ট্রাফিক পুলিশের উপ কমিশনার শাকিলা সুলতানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জ্বালালি তেলের দাম বাড়নোর প্রতিবাদে সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ করায় যানবাহনের শিথিলতা দেখা গেছে সড়কে। তবে সকাল থেকে ইপিজেডে শ্রমিক বহনের গাড়িগুলো পৌঁছেছে।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) থেকে এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা, এক লিটার অকটেনের জন্য দিতে হবে ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!