গাড়ি থামিয়ে চালক-যাত্রীকে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ

‘নো মাস্ক, নো প্যাসেঞ্জার’

বুধবার, দুপুর ১২টা। আকাশ থেকে মিষ্টি রোদ নেমেছে রাজপথে। নগরীর আকবর শাহ থানার একে খাঁন মোড়ের সড়ক তখন বেশ ব্যস্ত। হঠাৎ ওই থানার ট্রাফিক পরিদর্শক এস এম শওকত হোসেন হাত ইশারা দিলেন একটি বাসকে। যাত্রী, চালক হেলপারদের ধারণা কাগজপত্র যাচাই করতেই তার ইশারা। কিন্তু না, চালককে তিনি নামতে বললেন না কাগজপত্র নিয়ে। ঊর্ধ্বতন এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই উঠলেন বাসে। দেখলেন, যাত্রীদের অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। এমনকি চালক, হেলপারেরও অবস্থা একই। তার হাতে ছিল মাস্কের একটি বক্স। মাস্কবিহীন প্রত্যেকের হাতে হাতে দিলেন একটি করে সার্জিকেল মাস্ক। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে করলেন সতর্কও।

শুধু একে খাঁন এলাকাতেও নয়, ‘নো মাস্ক, নো প্যাসেঞ্জার’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) পক্ষ থেকে বুধবার (২ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

উদ্বোধনের পর নগরীর একে খাঁন, অলংকার, বাদামতলী ও বড় পোল মোড়ে পরিবহন চালক, হেলপার ও যানবাহনের যাত্রী এবং পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ট্রাফিক পরিদর্শক এস এম শওকত হোসেন বলেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা দ্বিতীয় ঢেউ জীবনব্যবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। এর ব্যপকতা প্রথম বারের চেয়েও অনেক বেশী। তাই আমাদের সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এর প্রতিকার করতে হবে। সিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় ট্রাফিক বিভাগের পশ্চিম জোনে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছি।’

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!