কক্সবাজার প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁয় হানিফ বাস ও হাইস গাড়িতে যাত্রী উঠা নিয়ে তর্কের জের ধরে ২গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষের এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিগ দেখে হানিফ বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে উত্তেজিত জনতার ইট-পাটকেলে গাড়ী ভাঙচুর করে । এ সময় পুলিশসহ ৭ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০ জুন বিকাল ৪টার দিকে বাসস্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রী তোলা নিয়ে চকরিয়ায় হাইয়েস চালকের সাথে হানিফ পরিবহনের চালকের তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে হানিফ পরিবহনটি (ঢাকা মেট্রো ব ১১-১২৮৫) কক্সবাজার অভিমুখে যাওয়ার সময় বাসস্টেশনে পৌছলে হাইয়েস মাইক্রো শ্রমিকদের সাথে ২য় দফায় কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হানিফ পরিবহনের চালক অবস্থা বেগতিক দেখে বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। ইট-পাটকেলের সময় ঐ গাড়ীর যাত্রীরা দিক-বিদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে কমবেশি আহত হয়েছে। তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় পাওয়া না গেলেও গাড়ী চালক সাতকানিয়া মৌলিয়াবাদ পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র বাবুল হোসেন (৩২) ও সুপার ভাইজার হারবাং আশ্রয় কেন্দ্র এলাকার রুস্তম আলীর পুত্র সায়েম বলে জানা গেছে। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষ সামাল দিতে গিয়ে তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল ফজলুর রহমান নামের এক সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এসময় মহাসড়কে আধ ঘন্টা যাবত যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, মাইক্রো শ্রমিকদের হানিফ পরিবহনের চালকের সাথে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং উভয়পক্ষের সাথে বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।