গালি দেবেন না— চট্টগ্রামের দর্শকদের কাছে আর্জি ক্রিকেটার নাসুমের

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের সিরিজে গ্যালারিতে করোনাকাল শেষে আবার প্রাণ ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তবে এর মধ্যে তারা আরেক বিষয় নিয়ে চিন্তিতও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজ— সবখানেই সমর্থকদের হতাশায় ফেলেছে বাংলাদেশ দল। করোনা পরিস্থিতিতে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকায় সমর্থকদের হতাশার আঁচ পেতে হয়নি ক্রিকেটারদের। তবে এবার নির্দিষ্ট আসনের ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে ঢুকতে পারবে— এই খবরে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা একদিকে উচ্ছ্বসিত, অন্যদিকে আবার শঙ্কিতও। সেই শঙ্কার কথা খোলাখুলি জানিয়ে বাংলাদেশ দলের তারকা স্পিনার নাসুম আহমেদ সমর্থকদের প্রতি আর্জি জানাচ্ছেন, ফল ভালো-খারাপ যাই হোক যেন তাদের গালি দেওয়া না হয়।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। ২৩ ফেব্রুয়ারির পর একদিন বিরতি দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় ম্যাচটি। তবে শেষ ম্যাচটির আগে দুই দিনের বিশ্রাম পাবে দুই দল। ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় চলে যাবে দুই দলই।

করোনা মহামারির কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রথম থেকে দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি না পেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পুরোটা সময় মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকছে। চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নির্দিষ্ট আসনের ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি পেলেও পরের ম্যাচগুলো পূর্ণ দর্শক উপস্থিতিতেও হতে পারে। কারণ ২২ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।

এটা মাথায় রেখে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ দলের তারকা স্পিনার নাসুম আহমেদ বলেন, ‘অনেকদিন পর মাঠে দর্শক ফিরছে, জেনে খুব ভালো লাগছে। যারা মাঠে আসতে পারবেন না, তারাও দূর থেকে আমাদের সাপোর্ট দেবেন। এটাই আশা করি। তবে আপনারা আমাদের গালি দেবেন না। কারণ কোনো ক্রিকেটারই খারাপ খেলতে চায় না। সবাই চায় নিজের দেশকে জেতাতে। দল হেরে গেলে আপনাদের চেয়ে আমাদের আরও বেশি খারাপ লাগে। খেলোয়াড়দের খারাপ ভাষায় আক্রমণ না করার অনুরোধ রইল।’

ক্রিকেটারদের শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুলনা করে নাসুম আহমেদ বলেন, ‘অনেক পড়াশোনার পর একজন শিক্ষার্থী কিন্তু পাস বা ভালো ফলাফল পেতেই পরীক্ষা দিতে যায়। খেলোয়াড়দের জীবনও তেমন। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য পরীক্ষা। আমরাও চাই ভালো করতে। আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব, আপনারা শুধু পাশে থাকুন, আমাদের সাপোর্ট করুন।’

গত বছর টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। মাঠে ঢুকতে না পারলেও এমন ব্যর্থতার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দেয় সমর্থকরা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!