গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে বন্ধন তৈরির লক্ষ্য মহিউদ্দিনের

ক্লিপটন অ্যাপারেলসের মালিক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী আসন্ন বিজিএমইএ নির্বাচনে চট্টগ্রামের লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফোরাম প্যানেলের ৯ জন পরিচালক প্রার্থীর মধ্যে তিনিও একজন। তাঁর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ক্লিপটন গ্রুপে রয়েছে ১৬ হাজার শ্রমিক। এবারের নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে আগামীতে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কিভাবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করা যায় তিনি সেদিকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সাথে আলাপকালে
ক্লিপটন অ্যাপারেলসের এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিল্প মালিক না বাঁচলে শ্রমিকরাও বাঁচবে না। এক সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিপীড়ন সহ্য করতে হতো আর মালিকরা থাকতো শোষকের ভুমিকায়। কিন্তু এখন দিন পরিবর্তন হয়েছে। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে না উঠলে প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব। তাই আমি এ শিল্প মালিকদের সাথে শ্রমিকদের ভাতৃত্ব বন্ধনের জন্য কাজ করবো। ২৬ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি বিজিএমইএ সদস্যদের জন্য কাজ করতে চাই। তবে, মালিক ছাড়া শ্রমিকের কোনো অস্তিত্ব নেই, আবার শ্রমিক ছাড়া মালিকের কোন অস্তিত্ব নেই। ফলে মালিক শ্রমিকের সহনশীল নীতিতে চলতে হবে।’

ক্লিপটন অ্যাপারেলসের মালিক বলেন, ‘কোভিড ১৯ পরিস্তিতিতে দেশের অনেক গার্মেন্টসের অর্ডার বাতিল করেছিল বায়ার। কিন্তু আমাদের ফোরামের নেতৃবৃন্দের বলিষ্ট ভূমিকায় ৯০ শতাংশ অর্ডার ফেরত এসেছে বা পুনঃবহাল হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ আগামী শীতের সময় ফেরত পাবো। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা ড. রুবানা হক দারুণ ভূমিকা রেখেছেন এর জন্য। অনেক বায়ার দুষ্টু প্রকৃতির ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অ্যাম্বাসীর সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছে। এতে জবাবদিহিতায় এসেছে বায়াররা। এটি আমাদের বড় অর্জন।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্য কম হওয়া বা কোভিড পরিস্তিতির কারণে অনেকে গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া ও ব্যবসা থেকে বের হওয়ার জন্য পলিসি থাকা জরুরী। কিন্তু সেটি উন্নত দেশে থাকলেও আমাদের দেশে নেই। যারা উন্নতি করতে পারেন না তাদের জন্য এক্সিট পলিসি বের করতে হবে।’

এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব মন্দার এ সময়ে ডলারে সাথে টাকার সমন্বয় করা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আমরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। সব ধরণে পণ্যের দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত সার্পোট না পাওয়াতে গার্মেন্টস শিল্পে ধীরে ধীরে মন্দাভাব এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের সাথে কাস্টমসের একটি সুসম্পর্ক থাকা জরুরী। তাই আমরা বন্ড কাস্টমসের নাথে বৈঠক করেছি। কারণ কাষ্টমস কর্মকর্তাদের অনেকগুলো ভ্রান্ত ধারণার কারণে পণ্যে ছাড় দিতে গড়িমসি করে। ফলে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রয়োজনে কাটিং দেন। হয়রানি করা যাবে না। সময়ক্ষেপন করা যাবে না। সেটিই মেনেছে কাস্টমস বন্ড কতৃপক্ষ। তবে নজরদারী থাকা জরুরী।’

গার্মেন্টস মালিকদের জন্য আমার অনুরোধ হচ্ছে, ‘প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সিলেক্ট করে সমাধানের পথ খোঁজা দরকার। মালিকদের সাথে আমি সে কাজটিই করতে চাই।’

এএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!