গার্মেন্টসের নির্বাহী যেভাবে ২৫০ কোটি টাকার রপ্তানিকারক!

গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ নির্বাহী হিসাবে। খুব দ্রুত তিনি এ চাকরিতে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অন্যকিছুই যেন লেখা ছিল তার ভাগ্যে। জাহাজভাঙ্গা শিল্প থেকে স্ক্র্যাপ ধাতব নিয়ে কিছু করার কথা ভাবলেন। নিজের ভাগ্য নিজে গড়ার সূচনাটুকু হল সেখান থেকেই।

সেই ছোটবেলায় এক প্রতিবেশীকে এই ব্যবসায় দেখেছিলেন তিনি। এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে সেটিই তাকে নিজস্ব উদ্যোগ শুরু করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। মেরিন সেফটি সিস্টেম নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন তারা সাহস করে। সেদিনের সেই প্রতিষ্ঠানটি এখন ৩৪০ জন কর্মী নিয়ে বিশাল তো বটেই, সারা দেশে স্ক্র্যাপ প্রপেলারের বৃহত্তম সরবরাহকারীও এটিই।

উল্লেখ্য, মেরিন সেফটি সিস্টেম গত ৮ অর্থবছরে ৬ বার জাতীয় রপ্তানিতে স্বর্ণ ট্রফি অর্জন করেছে। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্ণের ট্রফিটি পান গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী।

মেরিন সেফটি সিস্টেমের চেয়ারম্যান গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী কিভাবে শুরু করলেন এই ব্যবসা, স্ক্র্যাপকে কীভাবে ধাতবপাতকে প্রক্রিয়াকরণ করে রপ্তানিযোগ্য করেন এবং এ কাজে তার সাফল্যই বা কিভাবে এলো, তারই খানিকটা উঠে আসলো মুখোমুখি কথোপকথনে।

১৯ বছরেই আপনি বিশ্ববাজারের ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। মেরিন সেফটি ব্যবসায় আগ্রহটা কিভাবে জন্মাল?
১৯৯৭ সালে আমি মানবসম্পদ এবং অ্যাডমিন অফিসার হিসাবে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় ক্যরিয়ার শুরু করি। কাজের একঘেয়েমিতে আমি বিরক্ত হয়ে উঠছিলাম। বাধাধরা সীমিত বেতনও আমার জীবনের সম্ভাবনাগুলোকে সীমাবদ্ধ করে দিচ্ছিল।

আমি যখন অন্যরকম কিছু করার কথা ভাবছিলাম, তখন আমার শৈশবের বন্ধু কামাল উদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে মেরিন সেফটি সিস্টেমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর) আমাকে ব্যবসার অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেন। সেটা লুফে নিয়ে ২০০০ সালে ইপিজেডের চাকরিটি ছেড়ে দিই। এই সঙ্গে আমাদের মেরিন সেফটি সিস্টেমের যাত্রা শুরু হল।

ব্যবসার শুরুটা আমরা করেছি মেরিন সেফটি আইটেম দিয়ে। ২০০৩ সালে আমরা লোহাহীন ধাতব স্ক্র্যাপ এবং তামা, পিতল, ব্রোঞ্জ, কাপ্রো-নিকেল, লাল ব্রাস এবং স্টেইনলেস স্টিল নিয়েই ব্যবসা শুরু করি।

২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত প্রথম ৩ বছরে আমরা শিপব্রেকিং ইয়ার্ড থেকে নিরাপত্তা উপকরণ সংগ্রহ করে সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছি। তখন থেকেই মূলত আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম মেরিন সেফটি সিস্টেম রেখেছি।

আপনি কি এই ব্যবসায় সফল হয়েছেন?
যখন এই ব্যবসায় আমরা সাফল্য দেখতে পাচ্ছিলাম না, তখন আমরা অন্য পথের সন্ধান করতে থাকি। একদিন হঠাৎই আমার ছোটবেলার এক প্রতিবেশীর কথা মনে হল—যিনি প্রপেলার রপ্তানির ব্যবসা করতেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন তাকে দেখতে পেতাম প্রপেলার কাটতে। এই স্মৃতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা লৌহ ও বিভিন্ন ধাতব-স্ক্র্যাপ বাণিজ্য শুরু করি। আমি আমার পোশাকের কাজ থেকে রপ্তানি বিষয়ক জ্ঞান শিখেছি। ফলে রপ্তানি শুরু করতে বেগ পেতে হয়নি।

তবে এই ব্যবসায় আমরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত এবং প্রতারিত হচ্ছিলাম। ব্যবসায়ীরা আমাদের এক ধরনের ধাতব সম্পর্কে বলতেন, কিন্তু সরবরাহ করতেন অন্যটি। এরপর ২০০৬ সালে আমরা সঠিক ধাতুটি শনাক্ত করতে একটি মেটাল বিশ্লেষক কিনি।

আসলে মেশিনটি কেনার পরেই ভাগ্য খুলে যায় আমাদের। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল আমাদের লড়াই এবং শেখার সময়। আমরা এই সময়ে অনেক উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছি ঠিক, তবে আশা কখনোই হারাইনি।

আপনি ঠিক কখন এতে টার্নওভার বা পরিবর্তন দেখতে শুরু করেছেন?
আমার মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এবং শেয়ারবাজারে থাকা আমার শেয়ার বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে সংস্থাটি শুরু করি। এখন আমাদের বার্ষিক টার্নওভার ৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এখন আমরা তামা, ব্রোঞ্জ, ব্রাস এবং স্টেইনলেস স্টিলের জন্য প্রায় ৭০টি শিপব্রেকিং ইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করি। আমরা এগুলো প্রসেসিং করি।

২০১৬-১৭ সালে মেরিন সেফটি সিস্টেম ১৮.৪৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। একইসঙ্গে আমাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নি-আলকো অ্যালয়স লিমিটেড আয় করেছে ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

আপনার সংস্থা ৮ বছরে ৬ বার স্বর্ণের ট্রফি পেয়েছে। কোন্ বিষয়টি অন্যদের চেয়ে আপনাদের আলাদা করেছে?
আমরা ধাতব স্ক্র্যাপ রপ্তানি করার জন্য ট্রফি পেয়েছি। এটি একটি বড় অর্জন। যেহেতু আমরা চট্টগ্রামভিত্তিক ও ছোট রপ্তানিকারী হতে পারি তবে আমাদের আমদানিকারকরা বড়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা নিজেই এ পুরস্কার পেয়েছি। এতে সম্মানিত বোধ করছি। দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরও রপ্তানি করতে অনুপ্রেরণা পাই আমরা। যদিও এই ব্যবসাটি খুব প্রতিযোগিতামূলক। তবু প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার প্রাপ্তি আমাদের আরও রপ্তানি করায় উৎসাহ জোগায়। যেহেতু আমরা একটি রপ্তানিমুখী সংস্থা—ফলে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, সুরক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের বেলায় আমাদের নজর খুবই তীক্ষ্ম।

মেরিন সেফটি সিস্টেম গত ৮ অর্থবছরে ৬ বার জাতীয় রপ্তানিতে স্বর্ণ ট্রফি অর্জন করেছে।
মেরিন সেফটি সিস্টেম গত ৮ অর্থবছরে ৬ বার জাতীয় রপ্তানিতে স্বর্ণ ট্রফি অর্জন করেছে।

আপনি কী মনে করেন যে স্ক্র্যাপ জাহাজ থেকে উৎপাদিত ইস্পাত, পিতল এবং তামা স্থানীয় চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট?
না, এটি যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হয়েছে। এই শিল্পের স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আমাদের ধাতব আমদানি ছাড়া উপায় নেই। ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার এবং বৈদ্যুতিক তারের উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো তামার পাতের প্রধান গ্রাহক।

আপনার প্রতিষ্ঠান দেশের সর্ববৃহৎ স্ক্র্যাপ প্রপেলার সরবরাহকারী। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবসার আকার কি রকম? কোন ধরনের শিল্পে স্ক্র্যাপ প্রপেলার ব্যবহৃত হয়?
বিশ্বব্যাপী প্রপেলার উৎপাদন ব্যবসার বার্ষিক বাজার প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের। এর প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ স্ক্র্যাপ উপকরণ থেকে আসে এবং বাকিটা আসে ভার্জিন মেটাল থেকে । অন্যদিকে বিশ্বে স্ক্র্যাপ প্রপেলার ব্যবসার বাজার ১৫০ মিলিয়ন ডলারের।

আমাদের রপ্তানির মূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলারের। আমাদের প্রতিষ্ঠান মেরিন সেফটি সিস্টেম রপ্তানি করে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নি-আলকো অ্যালয়স লিমিটেড ১০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য বছরে রপ্তানি করে। আমরা বাংলাদেশের স্ক্র্যাপ প্রপেলারের ৬০-৭০ শতাংশ রপ্তানি বাজার কাভার করছি।

ভারত, পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক এবং নেদারল্যান্ডসও স্ক্র্যাপ পাত রপ্তানি করে। এই ধাতব পাতগুলো মূলত ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক কেবল এবং এয়ার কন্ডিশনার তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়।

আপনি মূলত কোন কোন দেশে রপ্তানি করেন?
তামা, পিতল, ব্রোঞ্জ, কাপ্রো-নিকেল, লাল পিতল এবং স্টেইনলেস স্টিল রপ্তানি করি আমরা। জাপান, জার্মানি, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, লাটভিয়া, স্পেন, ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশে আমাদের পণ্য যাচ্ছে বর্তমানে।

ধাতব স্ক্র্যাপ রপ্তানি খাতের কোন ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন আপনি?
এই খাতটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনও দেশের উন্নয়ন ধাতব ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। দামের দিক থেকে উত্থান-পতন হতে পারে, তবে চাহিদা থাকবে চিরকাল। বাংলাদেশে ভারী শিল্পকারখানা দ্রুত বাড়ছে। সুতরাং চাহিদা থাকবেই।

দেশের ক্যাবল কোম্পানি বা শিল্পকারখানায় পিতল ও তামা সরবরাহ করে আপনার প্রতিষ্ঠান?
না, আমরা শতভাগ রপ্তানিমুখী।

এই খাতে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য সরকারের নীতিই যথেষ্ট? এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
স্ক্র্যাপ ব্যবসার জন্য আসলে সরকারের কোন নীতিই নেই। আমরা রপ্তানি করি তামা, ব্রোঞ্জ, পিতল, লোহার পাত এবং স্টেইনলেস স্টিল। পোশাকশিল্প, জাহাজশিল্প ও কিছু বিস্কুটের কারখানায় সরকার প্রণোদনা দেয়। কিন্তু আমরা এই শিল্পে খুব একটা প্রণোদনা পাই না। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও অগ্রিম আয়কর এবং ভ্যাট ঠিকই দিতে হয়। তাই আমাদের লোকসান গুণতে হয়।

তবে একটা কথা যোগ করতে চাই আমরা যদি এসব ধাতব স্ক্র্যাপ রপ্তানি না করি, তবে এগুলো ভারতে পাচার হয়ে যাবে। এর আগেও হয়েছিল। স্ক্র্যাপ ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতে দেশি ব্যবহার ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই ভালো বাজার রয়েছে। যখন আমরা লোহাবিহীন ধাতব স্ক্র্যাপ এবং লোহার পাত রপ্তানি শুরু করি তখন চোরাচালান কিছুটা কমে। আর এখন তো এ শিল্প থেকে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

এক্ষেত্রে সরকারের করণীয় কী হতে পারে?

সরকার যদি স্ক্র্যাপের সরাসরি রপ্তানি নিষিদ্ধ করে এবং প্রক্রিয়াজাত করার পরে এই স্ক্র্যাপ রপ্তানি করা বাধ্যতামূলক করে তবে এই খাতটি আরও প্রসারিত হবে। এতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সরকারও আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভাল দাম হওয়ায় স্ক্র্যাপ থেকে প্রক্রিয়াজাত করে ধাতব পাত রপ্তানি এখন আরও বেশি লাভজনক। ব্যাংক ঋণের সুদকে সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার সরকারি সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। যদি এটি বাস্তবায়িত হয় তবে এটি আমাদের সহায়তা করবে।

জাহাজভাঙা শিল্পে পরিবেশ দূষণ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
এ বিষয়ে আমার দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে—একটি ইতিবাচক ও অন্যটি নেতিবাচক। শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে যেসব এনজিও কাজ করে তারা সবকিছুতেই বেশি বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এ কারণে প্রতিশ্রুতিশীল খাতটিতে ইমেজ সংকট তৈরি হয়। প্রতিযোগী দেশগুলোর দিকে তাকান—ভারত এবং পাকিস্তানের দিকে নজর দিলে আপনি তাদের স্থানীয় এনজিওর কাছ থেকে এ ধরনের অতি প্রতিক্রিয়া সেভাবে পাবেন না। ওইসব দেশে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে এনজিওদের এতো সহজে প্রবেশাধিকার নেই। অথচ আমাদের দেশে, প্রত্যেকেরই শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ঢোকা যায় খুব সহজেই। এটি এক অর্থে ভাল, তবে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীলতা দেশ এবং এই খাতের জন্য ইমেজ সংকট সৃষ্টি করে।

আর ইতিবাচক দিকটি হলো পরিবেশ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর ভাল নজরদারির কারণে প্রত্যেকে তাদের শিপব্রেকিং ইয়ার্ড পরিস্কার রাখে। সুরক্ষার প্রতিও যত্নবান বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এ কারণে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে দুর্ঘটনাও অনেক কমেছে।

আবার দেখা যায়, অনেক দুর্ঘটনা মূলত শ্রমিকদের হতাশা ও অনিয়ম কারণে ঘটে। বিভিন্ন কারণে শ্রমিকরা হতাশায় ভোগেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত বছর আমাদের একজন নিরাপত্তা প্রহরী একটি উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। আসলে তিনি কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। পায়ে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। ৩ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে কৃত্রিম পা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আমরা তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করি। তিনি সুস্থ হওয়ার পরে এখন আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।

আমাদের প্রতিষ্ঠান মেরিন সেফটি সিস্টেম পরিবেশ বিষয়ে খুব সতর্ক। পরিবেশ, সুরক্ষা এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা নিরসন ও পর্যবেক্ষণে করার জন্য আমাদের একটি টিম রয়েছে।

দেখা যায়, শ্রমিকরা প্রায়ই সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। যারা সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করেন না, আমরা তাদের বাতিল করে দেই। কর্মীদের সুরক্ষা এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতন করার জন্য আমরা প্রতি মাসে প্রশিক্ষণ এবং অনুপ্রেরণামূলক সেশনের আয়োজন করি।

মেরিন সেফটি সিস্টেমের ওয়েবসাইটে আপনাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ আছে। আপনি কি আপনার সংস্থার সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বলবেন?
দরিদ্র মানুষের জন্য আমরা সবসময় কিছু না কিছু করার চেষ্টা করি। আমাদের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটি সীতাকুণ্ডে অবস্থিত হওয়ায় মাদামবিবিরহাট এবং ভাটিয়ারি এলাকার স্থানীয় লোকেরা আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে।

আমরা এখন পর্যন্ত ৩০-৪০টিরও বেশি নিঃস্ব পরিবারকে সাহায্য করেছি—সম্পূর্ণ বা আংশিক—বিশেষ করে তাদের মেয়েদের বিয়েতে। ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেকের ঘর পুননির্মাণেও আমারা সহায়তা দিয়েছি। এছাড়া এতিমখানাগুলোতে আমরা অর্থসাহায্য দিয়ে থাকি। আমাদের কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও দুঃখের সময়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি আমরা।

দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড: মূল ইংরেজি প্রতিবেদন

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!