গার্মেন্টসকর্মীও করোনায়, চট্টগ্রামে রাতেই তিন বাড়ি লকডাউন

অন্য শ্রমিকদেরও আইসোলেশনে যাওয়ার আহ্বান

চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা পজিটিভ হওয়া ৩ জনের মধ্যে দুজনের বাসা পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা ও শাপলা আবাসিক এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলায়। এই তিন রোগীই এখন পর্যন্ত নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। আক্রান্ত এই তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে তাদের বাড়ি লকডাউন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দুই থানা।

জানা গেছে, নগরীর সাগরিকা এলাকার যে বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার পোশাক কারখানা গার্টেক্স গার্মেন্টসে কাজ করেন। এখন পুলিশ ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের শনাক্ত করার কাজও করছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০টায় এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আকবরশাহ এলাকার গার্টেক্স গার্মেন্টসের একজন কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় যেসব ব্যক্তি তার সংস্পর্শে ছিলেন তাদের দ্রুত আইসোলেশনে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কারও কাছে কোন তথ্য থাকলে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ০১৭৬৯৬৯০০৬৬ নম্বরে ফোন করে জানানোর জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সীতাকুণ্ডের বাসিন্দার বাড়ি গোডাউন রোড এলাকায় বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক শামীম শেখ। ৫০ বছর বয়সী ওই ভদ্রলোক পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জ থেকে দুইদিন আগে সীতাকুণ্ডে ফিরেছেন তিনি। তার পুরো বিল্ডিংই লকডাউন হবে বলেও জানিয়েছেন পরিদর্শক শামীম শেখ। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার, ওসি স্যার ও সিভিল সার্জনের একটি টিম এর মধ্যে আক্রান্তের বাড়িতে গেছেন। পুরো বাড়িটি লকডাউন করা হতে পারে।’

এদিকে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের থানা এলাকায় দুজন করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে। একজন সাগরিকায় থাকেন, তিনি ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ। অন্যজন শাপলা আবাসিকে থাকেন। উনি ৪০ বছর বয়সী একজন নারী। দুজনেই নিজেদের বাড়িতে আছেন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য গাড়িসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি টিম আসছে। উনারা এলেই আমরা বাড়ি দুটি লকডাউন করে দেবো।’

আক্রান্ত তিনজনকেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ। ওখানে আগে থেকেই দুজন রোগী আইসোলেশনে আছে। এই তিনজনকেও সেখানে আইসোলেশনে রাখা হলে জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫।

এআরটি/আরএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!