গলা কেটে খুন, ১৮ বছর পর ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড

দেড়যুগ আগের খুনের মামলায় নয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করার অপরাধে এ আদেশ দেয়া হয়। একই মামলায় আদালত প্রত্যেক আসমিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদানেরও আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় দেন। ফাঁসির আসামিরা হলেন, শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, দিদার, আবু বক্কর বাঁশি, ইসমাইল ও মো. জঙ্গু। এদের মধ্যে শাহীন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক।

সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হয়। নেছার আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় জেল খেটে ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফেরত আসেন এবং আর যেতে পারেননি। একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়ার কাছে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। বারবার ধর্ণা দিয়েও সেই টাকা উদ্ধার করতে পারেননি নেছার।

এজাহার মিয়ার সাথে ল্যাডা নাছিরের পূর্ব শত্রুতা ছিল। নাছির নেছারকে টাকা উদ্ধার করে দেয়ার কথা বলে এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করতে চায়। কথামতো ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন তাকে মেরে বনের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করে পুলিশ মোট ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

বিচার চলাকালে বিচার চলাকালে ‘কপাল কাটা নাছির’ নামে এক আসামি মারা গেলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। দশজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আদালত নয় আসামির প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!