গর্ভবতী নারীদের এসএমএস লাগবে না করোনার টিকা দিতে

এখন থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এসএমএস ছাড়াই করোনার টিকা পাবেন। অন্যদিকে বয়স্ক লোক ও ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসএমএস পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় একথা জানানো হয়।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নিবন্ধিত অন্তঃসত্ত্বা নারী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এসএমএস ছাড়াই কেন্দ্রে আসামাত্র রেজিস্ট্রেশনকৃত নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

এতে জানানো হয়, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন দেয়ার আগে গর্ভধারণের প্রমাণস্বরূপ এএনসি কার্ড বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য নির্ধারিত সম্মতিপত্রে সই করাতে হবে।

সম্মতিপত্রে সই করার বিষয়টিকে ‘অতীব জরুরি’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিবন্ধিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও ১৮ বছর ঊর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসএমএস প্রদান করে দ্রুত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলেও আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সন্তানসম্ভবা ও স্তন্যদায়ী মায়েদের টিকা দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ৮ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে সন্তানসম্ভবা ও স্তন্যদায়ী মায়েদেরও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কথা জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্তঃসত্ত্বাদের ভ্যাকসিন নেয়ার লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য অপ্রতুল। অন্য যেকোনো ভ্যাকসিনের মতো এ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অন্তঃসত্ত্বাকে জানাতে হবে। তিনি সম্মতিপত্রে সই করার পর তাকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

তবে স্তন্যদানকারী নারীদের ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অন্যদের যেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তাদেরও সেভাবেই দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়, সব গর্ভবতীকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভ্যাকসিন নেওয়ার দিন অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ থাকলে তাকে ডোজ দেওয়া যাবে না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলেও তিনি ভ্যাকসিন পাবেন না। কোনো অন্তঃসত্ত্বার ভ্যাকসিন অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে বা প্রথম ডোজ নেওয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা এইএফআই কেস হিসেবে শনাক্ত হলে তাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!