গর্ভবতীর প্রাণের দাম লাখ টাকা মাত্র!

ভুয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চেকআপে এসে মহালখান বাজারে পরিবার পরিকল্পনার অবসরপ্রাপ্ত মাঠকর্মী সেলিনা আকতার নামের এক ভুয়া ডাক্তারের হাতে প্রাণ হারান গৃহবধূ ছলিমা আকতার। এ ঘটনায় ভুয়া ডাক্তারের সঙ্গে লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূর স্বজনেরা বিষয়টি সমঝোতা করে ফেলেছেন।

ছলিমা আকতার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের খুরস্কুল এলাকার ফারুক আহমদের স্ত্রী। মুচলেকা নেওয়ার পর চেম্বারটি সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাফকো মহালখান বাজার সেলিনা আকতারের নিজবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে কর্ণফুলী থানার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ্ আলম সুমন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেলিনা আকতারের চেম্বারটি সিলগালা করে চাবিটি নিয়ে গেছেন।

ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহতের দুই মেয়ের নামে লক্ষাধিক টাকার দেওয়ার লিখিত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাতিজা মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার চাচির দুই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সমঝোতা করে ফেলেছি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।’

এদিকে গত বুধবার বিকালে দুই সন্তানের জননী ছলিমা আকতার বাপের বাড়ি উপজেলার ছিরা বটতলীর আসাদ মেম্বারের বাড়িতে বেড়াতে এসে ছোট ভাই মো. শাহজানের সঙ্গে চেকআপের জন্য সেলিনার চেম্বারে আসে। সেখানেই অপচিকিৎসায় তার করুণ মৃত্যু হয়। কয়েক ঘন্টা ধরে বাগবিতণ্ডা শেষে রাত ৯টায় পুলিশ-জনপ্রতিনিধি ও স্বজনেরা বিষয়টি আপস করতে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে রাত আনুমানিক ১ টায় নিহতের দুই মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করে পেলেন স্বজনেরা। এ ধরনের ঘটনার সত্যতা পেয়েও পুলিশের রহস্যজনক নীরব থাকায় জনতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ আলম সুমন বলেন, ‘রাতে ভুয়া ডাক্তারের চেম্বারটি সিলগালা করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে আর কোনো চিকিৎসা দিবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। নিহতের স্বজনেরা বিষয়টি সমঝোতা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বারশত ইউনিয়নের কালীবাড়ি এলাকার খুরশিদা আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এ চিকিৎসকের হাতে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!