এবার গরু চুরির দায়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় এক তরুণকে বেঁধে রেখে রাতভর অমানবিকভাবে পেটানো হয়েছে। উচিত শিক্ষা দেওয়ার নামে কোদাল দিয়ে মাথার চুল উপড়ে নেওয়া হয়েছে ছৈয়দ আহমেদ (১৮) নামের ওই তরুণের। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জালিয়াপালং পশ্চিম সোনার পাড়া মোনাফ মার্কেট এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এদিকে আহত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি।
নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমেদ উখিয়ার পশ্চিম সোনার পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, একই এলাকার মুহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির গুরু চুরি হয়েছে জানিয়ে ছৈয়দ আহমেদকে বাজার থেকে ধরে এনে বেঁধে রাখা হয়। উচিত শিক্ষা দিতে এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গরু চুরির দায়ে ছৈয়দ আহমেদকে রাতভর মারধর করা হয়। ওইসময় তাকে জুতার মালা পরানো ছাড়াও কোদাল দিয়ে চুল উপড়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল্লাহ বলেন, ‘ছৈয়দ আহমদ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মুহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির গরুর চুরির অভিযোগে তাকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে নিজে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিই। পুলিশকে তাৎক্ষণিক মৌখিকভাবে অবগত করি। যে গরুটি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় সে গরুটি মুহাম্মদের বাড়িতেই ছিল। তবুও অপরাধী হলে মারধর না করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলি। তারা তা মানেনি। গরুর মালিক মুহাম্মদের ডাকে পাশের বাড়ির বাসিন্দা জালাল উদ্দিন সেখানে গিয়ে উল্টো আমার সাথে তর্ক করে। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন মিলে ছৈয়দ আহমেদকে মারধর করে।
জালাল উদ্দিন মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এলাকায় যাতে আর কোন সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে তাই সবাইকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহম্মদ মঞ্জুর মোরশেদ শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি সবে যোগদান করেছি। এ বিষয়টি সর্ম্পকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএস