গরুর মাংস নেই জানাতেই গাছে বেঁধে পেটাল গৃহবধূকে

চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের পর তার স্বামী ও দেবর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার বাপের বাড়ির লোকজন। পরে পটিয়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর জেসমিন আকতার (২৭) বাদি হয়ে স্বামী সৈয়দ নুর (৪০), দেবর এনামুল হক প্রকাশ ভদ (৩৫) ও শাশুড়ি নুর বানুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্বামীসহ গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

এর আগে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাগজীপাড়ার হাজী বাদশা সওদাগর বাড়ির মো. সোলাইমানের ঘরে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার দুপুরে মারধরের পর রাতে গৃহবধূকে তার স্বামী ও দেবর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টাও করেছেন। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় গৃহবধূ জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে দেবর এনামুল হক প্রকাশ ভদ (৩৫), গৃহবধুর স্বামী- সৈয়দ নুর (৪০) ও শ্বাশুড়ি নুর বানুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, গৃহবধূর স্বামী একজন প্রবাসী। গত কয়েক দিন আগে দেশে ফেরেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় দেবর, শাশুড়ি গৃহবধূকে প্রায় সময় নির্যাতন করতেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে মারধর করে যৌতুক দাবি করতেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় বাবার বাড়ি চলে যেতেন জেসমিন। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে ২টার সময় তার স্বামী ঘরে এলে গৃহবধূ ভাত খেতে দেন। ওই সময় স্বামী গরুর মাংস দিতে বলে। মাংস নাই বলে জানালে স্বামী তার উপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে দেবর, স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে রশি নিয়ে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে গৃহবধূকে বেদড়ক মারধর করে।

গৃহবধুর ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তার বোনকে প্রায় সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করেন। প্রবাসী স্বামী সৈয়দ নুর গত কয়েকদিন আগে দেশে ফেরে পুনরায় গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। তদন্ত চলছে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!