গণপরিবহনে শিকার ধরতে বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করছে অজ্ঞান পার্টি

গণপরিবহনে যাত্রীদের অজ্ঞান করতে একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করছে দুষ্কৃতকারীরা। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বাসে, ট্রেনে বা লঞ্চে ট্রাঙ্কুলাইজার বা দ্রুত ঘুমানোর ওষুধ ব্যবহার করছে শিকার ধরার কাজে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওষুধ দ্রুত কাজ করে। এতে গভীর ঘুম হয়। আর পরিমাণে কম লাগে। এর বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার আগের বা পরের ঘটনা মানুষ মনে করতে পারে না। তবে যাদের কিডনি বা যকৃতের সমস্যা আছে, তাদের ওপর এই ওষুধ মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের অভিযানে রোববার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হল চান্দিনা কুমিল্লার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৩) ও কচুয়া চাঁদপুরের মো. নূর আলমের ছেলে মো. কালাম (৩২)।

তাদের কাছ থেকে ২০ পিস মাইলাম ৭.৫ ট্যাবলেট ও দুটি মলমের বোতল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার ২১জুলাই রাত পৌনে ১০টার সময় নগরীর চকবাজার থানা দিদার মার্কেট থেকে একই ধরনের ওষুধসহ অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিলো মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগ।

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস.এম. মোস্তাইন হোসেন বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনা যায় বলে অজ্ঞান পার্টির লোকজন এর সুযোগ নেয়। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা-সচেতনতাই মানুষকে নিরাপত্তা দেয়। আমরা সবাইকে বলি, যাত্রাপথে অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু খাবেন না। বাসে-লঞ্চে খোলা খাবার খাবেন না। অনেক সময় ডাবের পানিও নিরাপদ না।

বাসে ওঠার পর অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য নগরবাসীকে পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, পানি, জুস যা কিছুই খেতে দেওয়া হোক না কেন বাসে কিংবা পথেঘাটে অপরিচিত কারও কাছ থেকে এগুলো খাওয়া উচিত নয়।

এইচটি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!