খোলা বাজারে উচ্চমূল্য, দ্বিগুণ বরাদ্দেও পেঁয়াজের ক্রেতা সামলাতে পারছে না টিসিবি

পেঁয়াজের দাম এখনো ক্রেতার সাধ্যের বাইরে থাকায় দ্বিতীয় দফায় দ্বিগুণ বরাদ্দে চট্টগ্রামের ১২ স্পটে আবার বিক্রি শুরু হয়েছে টিসিবির পেঁয়াজ। দ্বিগুণ বরাদ্দ হলেও এখনো চাহিদা অনুসারে ক্রেতাকে যোগান দিতে পারছে না টিসিবি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রামের খোলা বাজারে গত ৩ দিনে ৩৬ টন পেঁয়াজ বিক্রি করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় চট্টগ্রাম নগরীর ৬ স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও পেঁয়াজের ভোক্তা চাহিদা এবং উচ্চমূল্যের কথা চিন্তা করে দ্বিতীয় দফায় নগরীর ১২ স্পটে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, প্রথম দফায় চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী, দামপাড়া, বন্দর থানা, হালিশহর থানা, পাহাড়তলী থানা ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার আশপাশে ট্রাকে করে ডিলাররা পেঁয়াজ বিক্রি করলেও পেঁয়াজের চাহিদার কথা চিন্তা করে বর্তমানে ১২ স্পটে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পেঁয়াজ।

এদিকে, টিসিবির পেঁয়াজের যোগান দ্বিগুণ বাড়ানোর পরও চট্টগ্রামের সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির স্পটে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে পেঁয়াজ বিক্রির কথা থাকলেও তা শুরু হয় প্রায় ১টায়। সাধারণ ক্রেতাদের চাপে ৩ ঘণ্টার মাথায় শেষ হয়ে যায় ট্রাকে বরাদ্দকৃত ১ টন পেঁয়াজ। হাটহাজারী থেকে আসা লোকমান হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আদালত ভবনে এসেছি একটি কাজে। পেঁয়াজের উচ্চমূল্যের কারণে খোলা বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা অসম্ভব। তাই এখান থেকেই পেঁয়াজ কেনার আশায় দাঁড়িয়েছি কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ভাগ্যে জুটবে না।’

তবে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, প্রথমবারে খোলা বাজারে বিক্রি করার জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ ট্রাকে ৬ টন পেঁয়াজ কিন্তু এখন বিক্রি হচ্ছে ১২ ট্রাকে ১২ টন। আর প্রতি ক্রেতার জন্য ৪৫ টাকা দরে ২ কেজি পেঁয়াজ কেনার সুযোগ থাকছে। পেঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য হওয়ার কারণে পেঁয়াজ সংগ্রহে রাখা অসম্ভব। তাই দিনের পেঁয়াজ দিনেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম খাতুগঞ্জ পেঁয়াজের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারিতে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর ও চীনের পেঁয়াজ বিক্রি ৮০-১৮০ টাকায়। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে ১০-২০ টাকা লাভে। ফলে ব্যবসায়ীদের লাভের যোগ-বিয়োগের অঙ্কের পরেও পেঁয়াজের দাম রয়ে যাচ্ছে ক্রেতা সাধারণের লাগামের বাইরে।

এ অবস্থায় টিসিবিতে পেঁয়াজের বরাদ্দ আরোও বাড়িয়ে দিয়ে খুচরা বাজারেও কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!