খুলশীতে মদ খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটির পর ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন

বুধবার রাত ১০টায় মদ খাওয়া নিয়ে দুই কিশোর গ্রুপে কথা কাটাকাটি হলো। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের উপর চড়াও হল। তারপর পুলিশ এসে সব শুনে জড়িতদের বিষয়ে জানাতে বলে চলে গেল। একপক্ষ অন্যপক্ষকে ধরে পুলিশে দিতে অন্ধকারে ধাওয়া করল। সেই ধাওয়ায় ছুরিকাঘাতে খুন হল কিশোর সাব্বির (২০)।

বুধবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার অধীনে ওর্য়ালেস ৫ নম্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ খুন সংঘটিত হয়েছে।

নিহত সাব্বির খুলশী থানাধীন ৫ নম্বর ওয়ারলেস কলোনির ইকবাল হোসেনের ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোটে। এ ঘটনায় মানিক প্রকাশ কানা মানিক (২২), সামশেদ (২০) ও হৃদয়কে (২০) আটক করেছে খুলশী থানা পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।

নিহতের ভাই রুবেল (২৫) বলেন, ‌‘স্হানীয় কিশোরদের দুটি গ্যাংয়ের কথা-কাটাকাটির ঘটনায় খুন হল আমার ভাই। বুধবার রাত ১০টায় খুলশী থানাধীন ঝাউতল স্কুলের সামনে মদ খাওয়ার ঘটনা নিয়ে কথাকাটির সূত্রপাত হয়। ওই সময় একে অপরের উপর চড়াও হয় তারা। ঘটনাস্হলে পুলিশ আসলে উভয় পক্ষ পালিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আমরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ভোররাত ৩ টার দিকে সে মারা যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলেন, ২ গ্রুপের মারামারির ঘটনায় খুলশী থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক হিরন (এনএসআই) ঘটনাস্থলে এসে সব শুনেন। তিনি স্হানীয় ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লাদেন প্রকাশ নাসিম লাদেনকে জড়িতদের ধরে তাকে ফোনে তথ্য দিতে বলে চলে যান। এরপর লাদেন গ্রুপের ছেলেরা প্রতিপক্ষের ছেলেদের ধরার চেষ্টা করলে অন্ধকারে ছুরিকাহত হয় সাব্বির।

এ ব্যপারে জানতে নাসিম লাদেন বলেন, ‘আমি মারামারির ঘটনায় থানায় ফোন দিয়ে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আমাকে ঘটনায় জড়িতদের ধরে তারপর ফোন দিতে বলেন। আমি খুনের ঘটনায় জড়িত নই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক হিরন জানান, ‘ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে গ্রেপ্তারে আমরা জনসাধারণের সাহায্য চাইতে পারি। তবে তাকে আসামি ধরে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’

এ ব্যাপারে খুলশী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জেএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!