খুলনাকে অপেক্ষায় রেখে সবার আগে শেষ চারে চট্টগ্রাম

নয় ম্যাচে বার পয়েন্ট নিয়ে এমনিতেই শেষ চারে এক পা দিয়ে রেখেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, তবুও অফিসিয়ালি বলার জন্য দরকার ছিল বাকি চার ম্যাচ থেকে একটি জয়ের অপেক্ষা। তবে চট্টগ্রাম চার ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করেনি, দশম ম্যাচেই অফিসিয়ালি নিশ্চিত করে ফেলেছে শেষ চারের টিকিট। আর তাতে অপেক্ষা বাড়লো খুলনার টাইগার্সের। পয়েন্ট টেবিলের নীচের দিক থেকে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও রংপুর রেঞ্জার্স উঠে আসায় একটু আগেভাগে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার সুযোগ ছিল খুলনা টাইগার্সের। কিন্তু বোলিং-ব্যাটিংয়ে একতরফা আধিপত্য দেখানো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তা হতে দিলো না।

এই ম্যাচে খুলনার ব্যাটিং-বোলিং কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। জয়ের জন্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে তারা টার্গেট দেয় মাত্র ১২২ রানের। ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে বেশ সহজেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স চলে গেল শেষ চারে। সামনের তিন ম্যাচে চট্টগ্রামের সামনে এখন একটাই কাজ-আরো পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়ে তালিকার এক বা দুইয়ে থাকা। যাতে ফাইনালে খেলার জন্য দুটো সুযোগ মিলে।

সন্দেহ নেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচের উইকেট বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু সেই কঠিন উইকেটে বেশ সহজেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সাত দলের মধ্যে সবার আগে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে উঠে এলো দলটি। আর ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে উঠে আসার জন্য খুলনা টাইগার্সের অপেক্ষা আরো বাড়ল।

খুলনার ইনিংসের প্রথম বল থেকেই বোঝা গিয়েছিল এই ম্যাচের উইকেট বেশ কঠিন। বল একটু উঁচু-নিচু হচ্ছিল। স্পিনও ধরছিল বেশ। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খুলনা শুরুতেই বিপদে পড়ে। মুশফিকুর রহিম ও রাইলি রুশোর ব্যাটিংয়ে সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলেও দলীয় ইনিংসটা যে চ্যালেঞ্জিং করতে পারেনি খুলনা। মুশফিক ২৯ ও রুশো ফিরেন ৪৮ রানে। খুলনার ব্যাটিংয়ে বাকি সবাই ফ্লপ। ১২১ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। মেহেদি হাসান রানা ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্স করেন।

রান তাড়ায় নেমে উইকেটের চরিত্র বুঝে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। লিন্ডেন সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ওপেনিং জুটিতেই রান উঠে ৬৯। ২ ছক্কা ৩ বাউন্ডারিতে ২৮ বলে ৩৬ রান করে সিমন্স আউট হন। জুনায়েদ করেন ৩৯ বলে ধৈর্য্যশীল কায়দায় ৩৮ রান। ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে অপরাজিত ৩০ রান করে চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস দলের জয়ের বাকি কাজটা সম্পন্ন করেন।

ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও বাজে সময় কাটায় খুলনা এই ম্যাচে। বেশিরভাগ বোলারই হাফভলি বল দিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের কাজটা সহজ করে দিলেন যেন! ম্যাচ শেষে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিক দলের এই বাজে বোলিং নিয়ে নিজের বিরক্তি গোপন রাখলেন না।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স: ১২১/১০ (১৯.৫ ওভারে, মিরাজ ৪, আমলা ৮, রুশো ৪৮, শামসুর ০, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭, আমের ইয়ামিন ০, আলাউদ্দিন বাবু ১, শফিউল ৩*, তানভীর ৩, আলিস ইসলাম ১, রুবেল ৩/১৭, মেহেদি হাসান রানা ৩/২৯, কেসরিক ২/২১, জিয়াউর ১/২২)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১২৪/৪ (১৮.১ ওভারে, সিমন্স ৩৬, জুনায়েদ ৩৮, ইমরুল ৩০*, ফ্রাইলিঙ্ক ২/২০)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মেহেদি হাসান রানা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!