খুচরা বাজারে আলুর দাম কমেনি, কাগজে ভাজেই গুজে আছে সরকারের নির্দেশনা

সরকারী ভাবে আলুর দাম খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি বেধে দেওয়া হলেও এ নিয়ন মানছে না কেউ। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা।

জানা গেছে, কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে জেলা প্রশাসকদের ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২৩ টাকা এবং আড়তে ২৫ টাকা কেজি আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।

কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে আলুর দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে দিনজুড়েই সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে আলু। কম দামে আলু পাওয়ার আশায় বাজারে গিয়ে অনেককেই হতাশ হতে হয়েছে। কারণ আগের মতোই আলুর জন্য চড়া দাম গুনতে হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার নগরীর বিবির হাট, বদ্দারহাট. ২নং গেইট কর্ণফূলী কমপ্লেক্সে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দামে।

বিবিরহাটের সবজি বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে গত সপ্তাহের মতো। তবে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। শুক্রবার আলু ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি।

বদ্দারহাট বাজারে সবজি বিক্রেতা আবদুর রশিদ বলেন, ‘আলু আমাদের পাইকারীতে ৩৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমরা কমে কিভাবে বিক্রি করবো।’

কর্ণফূলী কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন বলেন, ‘সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা সে দামে কিনতে তো পারছি না। সবাই খুচরা ব্যবসায়ীদের দোষ দেয়। কিন্তু আমরা যদি কম দামে কিনতে না পারি তাহলে কিভাবে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো।’

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী দরবার বাণিজ্যলয়ের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘আড়তে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু। আমরা কম দামে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারতাম।’

নগরের ২নং গেইট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে বাজার করতে আসা চাকুরীজীবী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে আলু হচ্ছে প্রধান সবজি। কিন্তু আমাদের দেশে প্রচুর আলু উৎপাদন হওয়ার পরও আলুর দাম অনেক বেশী। এটা শুধু সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!