খালেদার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চট্টগ্রামের আইনজীবীরা

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পন্থী আইনজীবীরা। এসময় আদালত প্রাঙ্গনে পাল্টাপাল্টি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায় তাদের।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বদরুল আনোয়ারের নেতৃত্বে বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের একটি মিছিল আদালত প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে। এর কিছু সময় পর নতুন আদালত ভবনের সামনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও ইব্রাহীম হোসেন বাবুল এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব খানের নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর আইনজীবীদের একটি মিছিল আদালত চত্বর প্রদক্ষিণ করে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,‘যদি বিচারক বিচারকাজ পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন, তাহলে দেশে আইনের শাসন থাকবে না। রাষ্ট্রের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত। যদি আদালতে মামলায় কেউ হেরে যায়, নির্দিষ্ট আইনি পথ আছে। পেশি শক্তি দেখিয়ে বিচার কাজকে বাধাগ্রস্থ করা অনুচিত কাজ। ঢাকায় এজলাসের ভেতরে ও বাইরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়েছে সেটি মেনে নেয়া যায় না। তাই একজন সাধারণ আইনজীবী হিসেবে আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আদালতের বিএনপি পন্থী সিনিয়র আইজীবী ফৌজুল আমিন চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বদরুল আনোয়ার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছানোর প্রতিবাদে আমরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করি। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি আদালত প্রাঙ্গন প্রদক্ষিণ করে সোনালী ব্যাংকের সামনে এসে শেষ হয়।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করলে বিএনপি পন্থি আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। তাদের হট্টগোলের এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। বিরতির (১১টা থেকে সাড়ে ১১টা) পর ফের আদালত বসলে জয়নুল আবেদীন শুনানি করতে চান। কিন্তু আদালত তাতে সায় দেননি। এসময় হট্টগোলের কারণে অন্য মামলার শুনানিও ব্যাহত হয়।পরে বিএনপিপন্থি ২/১ জন সিনিয়র আইনজীবী আদালত কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে জুনিয়রদের বাধার মুখে পড়েন।

এএ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!