খালাস স্থগিত হওয়া ২২২ চালান নিষ্পত্তিতে তৎপর কাস্টম হাউজ

ঘোষণা বহির্ভূত আমদানিসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ) শাখা কর্তৃক খালাস স্থগিত হওয়া পণ্যগুলো দ্রুত খালাসের লক্ষে তৎপরতা শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে এআইআর শাখায় খালাস স্থগিত (লক) করা পণ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকায় এক ধরনের জট তৈরি হয়েছে। কাস্টমস এর নীতিমালা অনুযায়ী সমুদ্র পথে আমাদানিকৃত পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাস নেওয়ার বিধান রয়েছে। ইতোমধ্যে খালাস স্থগিত হওয়া চালানগুলোর সেই সময়সীমা পার হয়েছে।

জালিয়াতি, মিথ্যে ঘোষণায় পণ্য আমদানি, রাজস্ব ফাঁকিসহ নানা কারণে কাস্টমসের এআইআর শাখা খালাস স্থগিত করে।চলতি বছর স্থগিত হওয়া চালানগুলো থেকে ২২২ কনসাইনমেন্টের ঝামেলা নিষ্পত্তির লক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে ২২ টিমকে দয়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতি টিম ২০ টি করে বিল অব এন্ট্রি পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টদের সরকারী রাজস্ব পরিশোধ স্বাপেক্ষে পণ্য খালাস নিতে চিঠি প্রদান করবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, খালাস স্থগিত হওয়া পণ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে। এতে করে জট তৈরি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস নিতে ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় খালাস স্থগিত হওয়া পণ্যগুলোর ঝামেলা নিষ্পত্তি করতে কমিটি গঠন করা হলো।

পণ্য খালাস নিতে কমিটির কর্মকর্তাদের যেসব দাযিত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট আমদানিকারদের নিকট পণ্যচালান দ্রুত খালাস নেওয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করবে, সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পণ্য খালাসের বিষয়ে অবহিত করবে, প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির জন্য আলাদা আলাদ নথি খুলবে, আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে. পণ্য চালানের হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমাকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানিকারক পণ্য চালান খালাস গ্রহণ না করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপরিশ করবেন।

কাস্টম কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ২২ টিমের মাধ্যমে ২২২ বিল অব এন্ট্রির তথা পণ্য চালানের বিষয়ে সুরাহা হবে। এই টিম সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টদের চিঠি দেবে। সরকার নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করে নিয়ম-নীতি মেনে সংশ্লিষ্টরা যদি শেষ পর্যন্ত পণ্য খালাস না নেয় তাহলে টিম ওসব চালান ইনভেন্ট্রির মাধ্যমে পণ্যগুলো নিলামে তোলা হবে।


এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!