খাবারের খোঁজে চট্টগ্রামের লোকালয়ে নেমে আসছে অজগরও

মানুষ তার অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রতিনিয়ত উজাড় করছে বনজঙ্গল-পাহাড়। এতে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল ও রসদ। ফলে প্রাণে বাঁচতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্যপ্রাণীরা। এতে হাতি থেকে শুরু করে সব ধরণের বন্যপ্রাণীর দেখা মিলছে এখন লোকালয়ে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙারচর ৩নং ওয়ার্ড এলাকার একটি অজগর সাপ ধরা পড়ল জনতার হাতে। বসুন্ধরা গ্রুপের একটি পরিত্যক্ত খামার থেকে অজগর সাপটি ধরা পড়ে। অজগর সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ ফুট এবং ওজন ২৫ কেজির মতো। খবর পেয়ে এলাকার শত শত স্থানীয় জনতা অজগর সাপটিকে এক নজর দেখতে ভিড় করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর ৩নং ওয়ার্ড এলাকার পরিত্যক্ত খামারটি বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে বিক্রি করা হয়। সেখানে তারা কারখানা করার জন্য গতকাল থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করেন। এ সময় পাশে তালগাছে অজগর সাপটি নড়াচড়া ও হঠাৎ ফোঁস ফোঁস আওয়াজ করতে দেখে তারা ভয় পেয়ে যান। প্রাণ রক্ষায় তারা মাথায় আঘাত করে অজগরের। অজগর সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ ফুট এবং ওজন ২৫ কেজির মতো।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় কৌশলে জীবিত সাপটিকে ধরে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছে। পরে আমরা বনবিভাগের বন্যপ্রাণী প্রাণী উদ্ধারকর্মীদের সাপটি হস্তান্তর করি।

বনবিভাগের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাছান মাহমুদ আরাফাত বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটি পাহাড়ি সাপ। আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়া ও খাদ্যের অভাবে বনজঙ্গল থেকে অজগরটি লোকালয়ে চলে এসেছে বলে ধারণা করছি।

তিনি বলেন, এ ধরনের সাপগুলো সাধারণত বনজঙ্গল থেকে খাদ্যের অভাবে লোকালয়ে বিচরণ করতে চলে আসে। এ সাপ মানুষের তেমন ক্ষতি করে না। কোথাও এ রকমের সাপসহ যে কোনো বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হলে তা আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খবর পেয়ে আমরা এটি উদ্ধার করে সন্ধ্যায় কেইপিজেডের পাহাড়ে অবমুক্ত করেছি। উদ্ধারকাজে শিক্ষার্থী জুলকারনাঈন, মেহেদি হাসান, আসিফুর রহমান সহযোগিতা করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!